নিজস্ব প্রতিনিধি: বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর অবশেষে শুভেন্দু অধিকারী পেলেন রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার অনুমতি। বিরোধী দলনেতা রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেই মামলার শুনানি ছিল বুধবার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে উঠেছিল মামলাটি। তিনিই শুভেন্দু অধিকারীদের আগামী ১৪ জুলাই রবিবার এই ধর্না কর্মসূচিতে অনুমতি দিয়েছেন।
এমনকি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিজেপি যদি নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্নায় বসেন, তাহলে কোনও আপত্তি নেই। আদালতের নির্দেশে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতা, কর্মীরা রাজভবনের সামনে চার ঘণ্টা ধর্নায় বসতে পারবেন। বুধবার রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানান, রবিবার ১৪ জুলাই বিজেপি নেতৃত্ব যদি সকাল ১০টা থেকে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসে, তাহলে কোনও সমস্যা নেই। রাজ্যের দাবি শুনেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, নির্ধারিত জায়গাতে ৩০০ জন লোক নিয়ে কর্মসূচি পালন করা যাবে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভাল, প্রথমে রাজ্য শুভেন্দু অধুকারীকে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছিল, ওই জায়গাতে সর্বদা ১৪৪ ধারা জারি থাকে। নিরাপত্তারর স্বার্থেই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলেই রাজ্যের তরফে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে সেই সময়েই পাল্টা উদাহরণও দিয়েছিলেন শুভেন্দু। ঘুরিয়ে বলেছিলেন, গত বছরের টানা ৫ দিন ধরে ওই একই জায়গায় ১০০ দিনের কাজ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্ণার কথা। যদিও আদালত তখন জানিয়েছিল, অভিষেক সভা করেছেন বলেই ওখানে সভা করতে হবে এমন কোনও মানে নেই। এমনকি আদালত শুভেন্দুদের বিকল্প জায়গা খোঁজার কথা বলেছিল। তবে তাতে রাজি ছিল না বিজেপি। এরপর শুভেন্দুদের থেকে সময় ও দিন জানতে চাওয়া হয়। তাই নিয়েও দেখা দেয় জটিলতা। ৩০ জুন সভা করার কথা বলা হলেও ওই দিন লোকসভা ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান থাকায় রাজি হয়নি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এরপর আগামী রবিবারের কথা বলা হয়। কিন্তু ওই দিন রথযাত্রা বলে কর্মসূচি করা সম্ভব নয় বলেই আদালতে জানান শুভেন্দুদের আইনজীবী। এরপর রাজ্যের পক্ষ থেকে ১৪ জুলাইয়ের কথা উল্লেখ করা হয়। জানানো হয়েছে, নির্ধারিত দিনেই শুভেন্দুদের ধর্নায় বসতে হবে।