• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

সন্ধ্যায় শুটআউট, অভিযুক্তকে খুঁজতে সীমান্তে তল্লাশী পুলিশের

নিজস্ব প্রতিনিধি, বসিরহাট– এলাকার দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন এক যুবক। আর সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার পিফা এলাকায়। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। আক্রান্ত যুবকের নাম আলতাফ মালি। তিনি একজন তৃণমূল কর্মী। রক্তাক্ত অবস্থায় আক্রান্তকে প্রথমে ভর্তি করানো

নিজস্ব প্রতিনিধি, বসিরহাট– এলাকার দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন এক যুবক। আর সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার পিফা এলাকায়। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। আক্রান্ত যুবকের নাম আলতাফ মালি। তিনি একজন তৃণমূল কর্মী। রক্তাক্ত অবস্থায় আক্রান্তকে প্রথমে ভর্তি করানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে। অবস্থার ক্রমশ অবনতি হওয়ায় তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন একটি দোকানে ওই যুবক দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। গুলি চলার শব্দ পেয়েই ছুটে যান এলাকার বাসিন্দারা। তখনই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। অন্যদিকে পালানোর সময় পাশের এক দোকানে বোমা ভর্তি ব্যাগ রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরে পুলিশ এসে ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে তৃণমূল কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে বসিরহাটের পিফা এলাকার ন্যাজাট রোডের উপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উত্তেজিত জনতা। তৃণমূল কর্মীকে প্রাণে মারার চেষ্টায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব আঙ্গুল তুলেছে বিজেপির দিকে। বসিরহাটের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আবদার রহমান মন্ডল বলেন, “লোকসভা ভোটে বিজেপি এখানে ভালো ফল করতে পারেনি। সেই রাগেই ওরা হামলা করেছে। আলতাফ দলের দক্ষ কর্মী। তাই ওকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।”

তবে তৃণমূলের দাবি অস্বীকার করেছে বিজেপি। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ দাস বলেন,” তৃণমূলের দাবি একদম মিথ্যে। ওদের হয়তো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল। সেই কারণেই এটা ঘটেছে।” অন্যদিকে প্রকাশ্যে এসেছে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। যা দেখে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম আয়ুব গাজি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা সিপিএম নেতা জাহাঙ্গীর আলম খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল এই আয়ুব গাজি। বেশ কয়েকবছর জেল খাটার পরে বর্তমানে জামিনে মুক্ত হওয়ার পরেই সীমান্ত এলাকা জুড়ে চালাতে থাকে মাদক পাচার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বসিরহাট জেলা পুলিশের কাছে মাথা ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ এই আয়ুব গাজি। অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যেই সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি চালাতে শুরু করেছে পুলিশ।