• facebook
  • twitter
Tuesday, 22 April, 2025

শক্তি পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে বিকল্প পথে হাঁটার ইঙ্গিত শিবসেনার

শিবসেনার তরফে বলা হয়েছে, বিজেপি যদি ৫০-৫০ ফর্মুলা মােতাবেক ক্ষমতা ভাগাভাগির দাবি না মেটায় তাহলে শিবসেনা বিকল্প পথে যাবে।

উদ্ধব ঠাকরে (Photo: Twitter/@ShivSena)

কথার চেয়ে কলমের জোর বেশি- তাই দলীয় মুখপত্র সামানার সম্পাদকীয়তে বিধানসভায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে শক্তি পরীক্ষা করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল শিবসেনা- মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ডেডলাইনের ঠিক আগে সেনার পাশার চালকে রাজনৈতিক মহল অশনি সঙ্কেত হিসেবে দেখছে।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদের সমান ভাগাভাগি নিয়ে শিবসেনা-বিজেপি মৌখিক লড়াই দশ দিনে পড়ল। যুযুধান দু’পক্ষ নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে প্ল্যান বি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ঠিকই তবে একে অপরের ওপর এখনই আস্থা হারাতে চাইছে না–তাই শিবসেনার তরফে বলা হয়েছে, বিজেপি যদি ৫০-৫০ ফর্মুলা মােতাবেক ক্ষমতা ভাগাভাগির দাবি না মেটায় তাহলে শিবসেনা বিকল্প পথে যাবে।

শিবসেনা বিকল্প পথের হদিশও দিয়েছে- সেটা ঠিক কি, শিবসেনার প্রাপ্ত আসনের সংখ্যার সঙ্গে এনসিপি, কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন মিলিয়ে মােট প্রাপ্ত বিধায়ক সংখ্যা নিয়ে শিবসেনা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। ফলে সরকার গঠন করতে পারবে। শরিক ভারতীয় জনতা পার্টিও বর্তমান পরিস্থিতিতে ঠিক কি করতে পারে। বিজেপি এক্ষেত্রে বিধানসভার মেয়াদ জিইয়ে রেখে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে পারে নয়তাে বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারে।

সামনায় প্রকাশিত রােক-টোক বিভাগে দলের নেতা সঞ্জয় রাউত লিখেছেন, ‘বিধানসভায় শরিক দল বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হলে শিবসেনা মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দাবি জানাবে। ১০৫টা আসন পেয়েছে বিজেপি-শিবসেনাকে ছাড়া যদি সরকার গঠন করতে হয় তাহলে আরও ৪০ জন বিধায়ক প্রয়ােজন। এতগুলাে বিধায়ক জোগাড় করা মােটেই সম্ভব নয়। কংগ্রেস, এনসিপি ও নির্দল মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৭০ ছাড়িয়ে যাবে। শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হয়ে কিভাবে দক্ষ শাসন চালাতে হয় তা দেখাবে। তিন ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী দল এক সঙ্গে মারাঠা সাম্রাজ্যের উন্নতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য শাসন করব। অটল বিহারী বাজপেয়ীও একই পথে গিয়ে শাসন চালিয়েছিলেন। আমরাও মহারাষ্ট্রের জনগণের স্বার্থে ঠিক ওভাবে শাসন চালাব’। তিনি বলেন, ‘অপারেশন লোটাস মহারাষ্ট্রে জমি পেতে ব্যর্থ।

২০১৪ সালে স্বল্প সময়ের জন্য শরিক দ্বয়ের ছাড়াছাড়ির পর যখন ফের বিজেপি-শিবসেনা সম্পর্ক জোড়া লাগে– তখন শিবসেনা বিজেপি’র চাপানাে সমস্ত শর্ত মেনে নিয়েছিল। সকলে ভাবছে শিবসেনা হয়তাে এবারেও তেমনটা করবে- একেবারে ভুল ভাবছেন। দলের নেতা উদ্ধব ঠাকরে স্পষ্ট করে দিয়েছেন- এবারে কোনওভাবে সমস্ত শর্ত মেনে নেওয়া হবে না। ঠাকরে বলেছেন, ‘লােকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে আমরা কম সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আমি সবসময় বিজেপির সঙ্গে আসন নিয়ে সমঝােতা করতে পারব না। আমাদের নিজের দলকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, যে বিজেপি সভাপতির সামনে ওই ফর্মুলা নিয়ে কথা হয়েছিল।