বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রকারী সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে লোকসভায় সরব তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে মিলিত প্রতিবাদ বিরোধীদের। সুকান্ত মজুমদারের পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল লোকসভা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়লেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রবীণ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যরা সুকান্তর উসকানিমূলক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা দাবি করেন। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানান। নিমেষের মধ্যে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভার। তৃণমূলের সমর্থনে গলা চড়ান অন্য বিরোধী সাংসদরাও। শুরু হয় ব্যাপক হইহট্টগোল।সংসদ মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ।

পরে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলাম, তারপরে অধ্যক্ষ বলতে বলেছিলেন, কিন্তু বলতে দেননি। তারপরে আবার বলেছি। এরপরেই সভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়। সুকান্ত মজুমদার বাংলাকে ভাগ করতে চাইছেন, এটা আমরা মানব না। উত্তর-পূর্বের দায়িত্বে থেকে একজন মন্ত্রী কীভাবে বলেন এই ধরনের কথা? বাংলা ওভাবে ভাগ করা যায় না। কাল আবার নিশিকান্ত দুবে বললেন, বাংলার দুটো জেলা আর বিহারের ৩টে জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে হবে। কেন? বাংলা কি খেলার পুতুল নাকি? যার মর্জি হবে সে ভেঙে দিয়ে চলে যাবে! আর বাঙালি কি চুপ করে বসে থাকবে নাকি? আর বিজেপি তো বাঙালি-বিরোধী। তাই এসব বাংলা-বিরোধী কথা বলছে। সেই কারণেই আমরা পদত্যাগ চেয়েছি সুকান্ত মজুমদারের।

রাজ্যসভার প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ও সুকান্ত মজুমদারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, তৃণমূল সর্বশক্তি দিয়ে রুখবে বাংলা ভাগের চক্রান্ত। জনগণ উচিত শিক্ষা দেবে বিজেপিকে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনের কটাক্ষ, বারবার হেরে গিয়ে ঈর্ষায় ভুগছে বিজেপি। ৩ বছর টাকা আটকেও হেরে গেল। তাই এখন বাংলা ভাগের চক্রান্ত। সুকান্ত মজুমদারকে সবক শিখিয়ে দেব আমরা। শেষ কথা বলবেন বাংলার জনগণই।