অভিষেক রায়, খড়গপুর, ৩ মে – সব দলেরই নির্বাচনী প্রচার জোরকদমে চলেছে৷ বিজেপিও ব্যতিক্রম নয়৷ মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল রুটিন মাফিক প্রতিদিন এক একটি ব্লকের বিভিন্ন এলাকার ঘুরে প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ ব্যতিক্রম খড়গপুর ১ নম্বর ব্লক৷ এখানে প্রচার জমাট বাধছে না৷
খড়গপুর এক নম্বর ব্লকে অগ্নিমিত্রার ভরসা সংঘের অরাজনৈতিক প্রচার৷ সঙ্গের এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রচারক বলেন, আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি৷ ভোটদাতাদের কাছে আমাদের একটাই আবেদন, নিজের ভোট নিজে দিন৷ সকালবেলা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন৷ নোটাকে ভোট দেবেন না৷ আপনার পছন্দমত যে যেকোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী কে ভোট দিন৷
বিজেপি প্রার্থীকে সরাসরি ভোট দেওয়ার জন্য কোন আবদেন অবশ্য সংঘ কর্তারা করছেন না৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সংঘ প্রচারক বলেন, আমরা ভোটদাতাদের বলি দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে ভোট দিতে৷ সরাসরি বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা না বললেও তারা এমনভাবে প্রচার চালান ভোট দাতারা সহজেই তাদের প্রচারের ইঙ্গিত বুঝতে পারেন৷ বাডি় বাডি় গিয়ে সংঘের এই প্রচার চলছে৷
কিন্ত্ত সংঘের আক্ষেপও আছে৷ তাদের বক্তব্য, হাওয়া আছে৷ সেই হাওয়াকে জোরদার করাটাই আমাদের লক্ষ্য৷ বিজেপির কাজ সেই হাওয়াটাকে কাজে লাগিয়ে প্রার্থীর প্রচার করা৷ কিন্ত্ত খড়গপুর এক নম্বর ব্লকে বিজেপির সংগঠন এতটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে যে হাওয়া থাকলেও হাল তোলার লোক নেই৷ ফলে হালে, হাওয়া লাগিয়ে নৌকাও অর্থাৎ রাজনৈতিক প্রচারও গতি পাচ্ছে না৷ প্রার্থী পুরোটাই জানেন কিন্ত্ত তিনি তারও হাত-পা বাঁধা৷
সংঘ, বিজেপি নেতাদের হাবভাবে অসন্ত্তষ্ট৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সংঘ সদস্য বলেন, প্রার্থীকে জেতাবার কথা বিজেপির কেউ ভাবছে না তাদের লক্ষ্য ২০২৬৷ ২০২৬ – এ কে বিধানসভায় প্রার্থী হবেন সেটা মাথায় রেখে তারা নিজেদের প্রভাব বাড়াতে ব্যস্ত৷ ২০২৬ এর আগে ২০২৪ এ বিজেপিকে জেতানো যে জরুরী সেই ব্যাপারটাই তাদের মাথায় নেই৷
সংঘের প্রচারের মূলকথা রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে ভারতের রাষ্ট্রীয় পুনরুত্থান, পশ্চিমবঙ্গের বেহাল আর্থিক অবস্থা, শিল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চরম অবনতি, নারী সুরক্ষা, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের বঞ্চনা, অনুপ্রবেশ ও ধর্মান্তরকরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ৷ এছাড়াও রয়েছে কাশ্মীরে 370 ধারার রদের মধ্যে দিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির স্বপ্ন সাকার করা, সিএএ কার্যকর করার সাফল্য প্রচার৷ বাডি় বাডি় গিয়ে সংঘের এই প্রচার অগ্নিমিত্রাকে কতটা সুরক্ষিত করে সেটাই এখন দেখার৷