• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভাইরাল ভিডিও নিয়ে উত্তপ্ত সন্দেশখালি, থানার কাছেই তৃণমূল কর্মীকে টেনে হিঁচড়ে মারধর

কলকাতা, ১২ মে:  আজ, রবিবার বিজেপি নেতাদের একের পর এক ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি। সন্দেশখালি থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বিধায়কের সামনেই এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক পেটালেন গ্রামের বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও মহিলারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে গ্রামের মহিলা ও বিজেপি নেতাদের ভিডিও ফুটেজ নিয়ে ফেক ভিডিও তৈরি করছে তৃণমূলের নেতারা।

কলকাতা, ১২ মে:  আজ, রবিবার বিজেপি নেতাদের একের পর এক ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি। সন্দেশখালি থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বিধায়কের সামনেই এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক পেটালেন গ্রামের বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও মহিলারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে গ্রামের মহিলা ও বিজেপি নেতাদের ভিডিও ফুটেজ নিয়ে ফেক ভিডিও তৈরি করছে তৃণমূলের নেতারা। ধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে আরও এক নির্যাতিতার বয়ান বদলের অভিযোগ! এই অভিযোগে এদিন ফের উত্তাল হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা।

বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় সন্দেশখালির মহিলাদের। বিক্ষুব্ধ মহিলাদের অভিযোগ, সন্দেশখালিতে ফেক ভিডিও তৈরি করে ভাইরাল করছে দিলীপ মল্লিকের মতো তৃণমূল নেতা। “আমরা কারও কথা শুনে অভিযোগ করিনি। মিতা মাইতিকে নিয়ে যে ভিডিও করা হয়েছে তা ফেক। তাঁর গলা নকল করা হয়েছে।” পাশাপাশি, ডাকাতির অভিযোগে একজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার নিয়ে থানা ঘেরাও করেন রেখা পাত্ররা। তারপরেই থানা থেকে কিছুটা দূরেই এক তৃণমূল কর্মীকে বাড়ি থেকে টেনে এনে বেধড়ক মারধর করলেন গ্রামের মহিলারা। বিধায়ক সুকুমার মাহাতর সামনেই মহিলারা ক্ষোভ উগরে দেন।

এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র পরিকল্পিতভাবে নতুন করে সন্দেশখালিতে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে। বিধায়কের সামনেই তাতান নামে এক তৃণমূল কর্মীকে টেনে এনে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন মহিলারা। বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “মানুষ ক্ষিপ্ত হয়েছেন। মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে। বুঝাতে হবে।”

সন্দেশখালির বিজেপির নেতা কর্মীদের অভিযোগ, সন্দেশখালির স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক নির্যাতিতাদের টাকা দিয়ে চাপ তৈরি করে বয়ান বদল করছেন। এরই প্রতিবাদে রবিবার গ্রামের মহিলারা প্রথমে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে চড়াও হন। পরে জানা যায়, ওই বাড়িটি তৃণমূল নেতা নারায়ণ বিশ্বাসের। নারায়ণ বিশ্বাসের বাড়ির পিছনের রাস্তা দিয়ে দিলীপ মল্লিকের বাড়ি। সেখানে আজ বিকালে রাজবাড়ি বাজারের মিটিংয়ের আগে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। সেই আলোচনায় ছিলেন তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক‌ও। খবর পেয়ে বিক্ষোভরত বিজেপি মহিলা কর্মী সমর্থকরা নারায়ণ বিশ্বাসের বাড়ির পাশ দিয়ে চলে যান থানার সামনে। নারায়ণ বিশ্বাসের বাড়ির সামনে গেটের মুখে রীতিমতো ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন প্রতিবাদীরা। তাতান নামে এক তৃণমূল যুব কর্মীর ওপর চড়াও হন বিক্ষুব্ধ মহিলারা। তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। এমনকি তাঁর জামা কাপড়ও ছিঁড়ে দেয় বিক্ষুব্ধ মহিলারা।

ওই বিক্ষোভকারীর আরও দাবি, সন্দেশখালির মহিলাদের উপর অত্যাচার হওয়ার খবর পেয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি। এখন তাঁদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে মিথ্যে কথা বলার অভিযোগ করে সন্দেশখালির মহিলাদের অসম্মান করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই তাঁরা ফের আন্দোলনে নেমেছেন। বিক্ষোভকারী আরও এক মহিলা বলেন, “তৃণমূলের এই অঞ্চলের নেতাকর্মীরা আমাদের বক্তব্যকে বিকৃত করে ফেক ভিডিও তৈরি করে আন্দোলনকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করছে। রেখা পাত্রকে উঠতে দিতে চাইছে না।”

এবিষয়ে তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক বলেন, “বিজেপির এটাই সংস্কৃতি। টাকা দিয়ে ভিডিও বানানোটাও বিজেপির সংস্কৃতি। তৃণমূলের নয়। বিজেপি বুঝতে পেরেছে সন্দেশখালির মাটি তাদের পায়ের তলা থেকে সরে গেছে। তাই এই ধরণের চক্রান্ত করার চেষ্টা করছে।” বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, “যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেটা বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতি করেছেন। তাঁকে বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন করতে পারছে না কেন?”