• facebook
  • twitter
Saturday, 9 November, 2024

সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন সাকেত, সাগরিকা, কুনালের

বিধানসভায় আনা ধর্ষণ-বিরোধী বিলকে স্বাগত জানালেন ডেরেক

সোমবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে ওই হাসপাতালেরই আর্থিক দুর্নীতির মামলায়। তবে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি কতদূর, এই প্রশ্ন তুলেই এবার একে একে সরব হচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্বগণ। এ প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ থেকে দলীয় মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। আরজি কর কাণ্ডের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করার জন্য সিবিআই কেন চার্জশিট দাখিল করছে না, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে।
অন্যদিকে, মঙ্গলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আনা ‘অপরাজিতা বিল ২০২৪’ নামক ধর্ষণ-বিরোধী বিলকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। এই জল্পনার মাঝে অন্য পথে হেঁটেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি মঙ্গলের সকালে ধর্ষণ-বিরোধী আইন প্রসঙ্গে নিজ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “নির্ভয়া কাণ্ডের বারো বছর পরেও এই ধরণের জঘন্য অপরাধের শেষ নেই! এই আগস্টে আমরা কলকাতার একজন তরুণীকে হারালাম, রায়গড়ে একজন আদিবাসী মহিলাকে হারিয়েছি, আমরা যোধপুরে একজন ১৫ বছর বয়সী, দিল্লিতে ৭ বছর বয়সী এবং বদলাপুরে ৪ বছর বয়সী দুজনকে হারিয়েছি। আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি আমাদের কথাকে বাস্তবে পরিণত করার। এটি শুরু হল প্রথমবারের মতো একটি রাজ্যে কঠোর ধর্ষণ-বিরোধী বিল পাসের মধ্য দিয়ে।”
সাকেত নিজ এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে বিস্তারিত লিখেছেন, “সিবিআইকে স্বীকার করতে হবে যে কলকাতা পুলিশ ১২ ঘন্টার মধ্যেই মামলাটির বৃহৎ অংশের সমাধান করেছে, এবার যদি সিবিআই একটি চার্জশিট দাখিল করে এবং আরজিকর মামলার বিচার শুরু হয় তবে বিজেপির রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের অজুহাত থাকবে না! তাই সিবিআই বিজেপির নির্দেশেই ধর্ষণ ও খুনের অভিযুক্তদের বিচার করতে বিলম্ব করছে।” তিনি আরও লিখেছেন, “বিজেপি বরাবরের মতোই মৃত্যু নিয়ে তাদের নোংরা রাজনৈতিক এজেন্ডা খেলছে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে মামলাটি দাফন করা হচ্ছে। আমাদের দাবি, সিবিআই অবিলম্বে আরজিকর মামলায় চার্জশিট দাখিল করুক।” এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, “মনে করিয়ে দি, কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। এর থেকে স্পষ্ট, বাংলার সরকার পক্ষপাতদুষ্টতা প্রদর্শন করেনি। আমরা বিচার চাই, রাজনীতি নয়। সিবিআই দ্রুত সত্যের উদঘাটন করে সত্যিটা দেশবাসীর সামনে আনুক, নির্যাতিতার ন্যায় বিচার হোক।”
পাশাপাশি মঙ্গলবার সকালে কুণাল একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, সন্দীপ গ্রেফতার হয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগে। কিন্তু আসল ঘটনা অর্থাৎ খুন-ধর্ষণের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্বন্ধে জানাতে হবে সিবিআইকে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যে একমাত্র গ্রেফতারি, তা কলকাতা পুলিশেরই সৌজন্যে। এরপরেই কুণালের প্রশ্ন, “সেই গ্রেফতারির পর থেকে আর কোনও সূত্রও পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত একা ছিল, না এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্রের হাত ছিল, কিছুই জানা যায়নি। সিবিআইয়ের তদন্ত কতদূর? অবিলম্বে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার আপডেট সিবিআইকে দিতে হবে।” বক্তব্যের শেষে সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে কুণাল বলেন, “এই গ্রেফতারি যেন নজর ঘোরানোর গ্রেফতারি না হয়। এই গ্রেফতারি যেন ‘নাকের বদলে নরুন’ না হয়!”