নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুর, ২৬ এপ্রিল— মুর্শিদাবাদের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে কান্দি৷ প্রতিবার এখান থেকে লিড পেয়ে অনেকটাই এগিয়ে যান কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী৷ এবারও কান্দি বিধানসভা এলাকার মানুষ তাকে ফেরাবেন না বলেই মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ সেটা মাথায় রেখে শুক্রবার হুডখোলা গাড়িতে নির্বাচনী প্রচার করেন অধীরবাবু৷ হুডখোলা গাড়িতে কংগ্রেস এবং সিপিএমের পতাকা ছিল লাগানো৷ অধীরবাবুর গাড়ির পিছনে ছিল বাইক মিছিল৷ সেখানে ছিলেন কয়েকশো কর্মী-সমর্থক৷ প্রচণ্ড রোদ এবং সেই সঙ্গে গরমকে সঙ্গি করেই এদিন তিনি মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ সারেন৷ এদিন তিনি কান্দি ব্লকের বহড়া, আনোখা, রুদ্রবাটি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রচার চালান৷ রাস্তার দু’ধারে দাঁড়ানো মানুষদের বিশেষ করে শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি মুঠো মুঠো চকলেট ছুড়ে দেন৷
এছাড়াও এদিন অধীর চৌধুরী রেজিনগর এবং বেলডাঙ্গায় দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন৷ সভাগুলি ছিল বাম এবং কংগ্রেসের যৌথ৷ রেজিনগরের কাশীপুরের সভায় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো৷ একইভাবে বেলডাঙ্গার সভাতেও মানুষের ভিড় ছিল উপচে পড়া৷ রেজিনগরের সভায় অধীর চৌধুরী বলেন, ‘এই এলাকার মানুষ আপনারা রাজনীতি সচেতন৷ প্রত্যেকদিন আপনারা টিভি দেখেন৷ খবরের কাগজ পড়েন৷ সমাজ মাধ্যম দেখেন৷ আজ দেশে কি চলছে, রাজ্যে কি চলছে-এ সম্পর্কে আপনারা আমাদের চেয়ে বেশি জানেন৷ লক্ষ্য করে দেখবেন, যখনই নির্বাচন আসে, তখন কোনও দল হিন্দুর জন্য মাথা ঘামাতে শুরু করেছে৷ কোনও দল মুসলমানের জন্য মাথা ঘামাচ্ছে৷ নির্বাচন যখন শেষ হয়ে যাচ্ছে, তখন সেই সব দল তাদের মতো বাড়ি চলে যাচ্ছে৷ মাঝখান থেকে আমাদের এই সমাজটা একে অপরের প্রতি অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করছে৷ এই জায়গাটা আমাদের সকলের একটু ভাবা দরকার৷ হিন্দু এবং মুসলমানদের ভাবা দরকার৷ এখানে মন্দির এবং মসজিদ আছে৷ এখানে মন্দিরে ঘণ্টাধ্বনি বাজে৷ এখানে আজানও হয়৷ কেন নিজেদের মধ্যে অকারণে একটা বিভেদের প্রাচীর তৈরি করে দূরত্ব বাড়াচ্ছি৷ একে অপরের প্রতি অবিশ্বাস তৈরি করছি কেন?’