সমাজমাধ্যমে কুরুচিকর মন্তব্যের শিকার রাজন্যা হালদার, পুলিশের দ্বারস্থ নেত্রী

আর জি কর ইস্যুতে নাম জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কুরুচিকর মিম পোস্ট করার অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী রাজন্যা হালদার। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর পোস্ট করে আক্রমণ করা হয় রাজন্যাকে। অভিযোগ, তাঁর ছবি ব্যবহার করে রীতিমতো অশালীন পোস্ট করা হয়েছে। এজন্য লালবাজার এবং সোনারপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনায় সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বারুইপুর পুলিশ জেলার অধীন সাইবার ক্রাইম থানা এই ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত মহিলার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এই তৃণমূল নেত্রী।

অভিযোগ দায়ের করার পর আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগেন রাজন্যা। তিনি জানান, যাঁরা আর জি করের নারী নির্যাতন নিয়ে সুবিচার চাইছেন, তাঁদেরই অনেকে অপর একজন নারীর প্রতি অশালীন মন্তব্য করছেন। ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে আর একজন মহিলাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস করার জন্যই তাঁর প্রতি এই অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন যুবনেত্রী। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

এমনিতেই আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা বাংলা তথা রাজ্য–রাজনীতি। এরই মধ্যে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সকলেই। কেউ ঘটনায় শাসকদলকে নিশানা করেছেন। আবার কেউ ঘটনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। সমাজ মাধ্যমে মিমের নিশানায় কখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, আবার কখনও বা তৃণমূলের তারকা সাংসদ এবং বিধায়করা। নেটনাগরিকদের নিশানা থেকে বাদ যাননি কেউই। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য করে আক্রমণ করা হয় তৃণমূল নেত্রী রাজন্যা হালদারকে। বেশ কিছু আপত্তিকর কমেন্টও করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে করা পোস্টে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।


প্রসঙ্গত সম্প্রতি আর জি কর কাণ্ডে মৃত চিকিৎসকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। কিন্তু মৃতার পরিবার সেই টাকা নিতে অস্বীকার করে। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এক্স হ্যান্ডেলে মিমি চক্রবর্তীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল জনৈক নেটিজেন। হুমকি পোস্টে লেখা হয়, ‘আজ এই কাণ্ড যদি মিমির সঙ্গে ঘটত, তাহলে কী করত? মিমির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হত নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিলে আমি ওঁর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেব।’