আমার বদনাম করে ভোটে ফয়দা তোলার চেষ্টা: রাজ্যপাল
নিজস্ব প্রতিনিধি— প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন৷ রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছানোর প্রধানমন্ত্রীর৷ কিন্ত্ত তার আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলেন রাজভবনের এক মহিলা অস্থায়ী কর্মী৷ ওই মহিলা রাজভবনে পিস রুমে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷
রাজভবন হেয়ার স্ট্রিট থানার অধীনে, তাই স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওই মহিলা হেয়ার স্ট্রিট থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ প্রথমে ওই মহিলা রাজভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন৷ রাজভবন থেকে অভিযোগকারিনীকে থানায় আনা হয়৷ অভিযোগ দায়ের হয় হেয়ার স্ট্রীট থানায়৷ অভিযোগ পেয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও হেয়ার স্ট্রিট থানায় পৌঁছন৷ এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনিক স্তরে৷ এর আগে এমন নজিরবিহীন ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে কখনও হয়নি৷ অভিযোগকারিণীর দাবি একবার নয়, দু’বার তাঁর শ্লীলতাহানি করেন রাজ্যপাল৷ রাজভবনে স্থায়ী চাকরি দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন রাজ্যপাল৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজভবনের ওই কর্মী রাজভবনের অফিসার ইন চার্জের কাছে প্রথম বিষয়টি জানান৷ সেখানে ওই অভিযোগকারিণী দাবি করেন গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যপাল তাঁকে কু-ইঙ্গিত করছিলেন৷ এদিন সন্ধ্যায় চেম্বারে ডেকে রাজ্যপাল তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন৷
বিয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি৷ কারণ, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস৷ কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ এই প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা বলেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নারী নি.র্যাতনের অভিযোগ নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়৷ ওই মহিলা রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী, সেকারণে তদন্তের স্বার্থে অভিযোগকারিণীর পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ৷
এদিকে নির্বাচনী প্রচারে বৃহস্পতিবার রাতেই রাজভবনে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী৷ রাত্রিবাস করার পর আজ শুক্রবার কৃষ্ণনগর, বোলপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে নরেন্দ্র মোদির জনসভা রয়েছে৷ তার আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি৷