• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বর্ধমানের রায়নায় গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে বেহাল রাস্তা সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতায় নামলেন

মেঘালয়ের মাওলিনং থেকে অনুপ্রেরণা আমিনুর রহমান, বর্ধমান, ২২ জুন — পঞ্চায়েত নয় গ্রামের লোকজন একজোট হয়ে নিজেরাই তৈরি করছেন রাস্তা। আর রাস্তা তৈরীর টাকার যোগান আসছে ওই এলাকারই প্রতিষ্ঠিত এক মহিলার রেখে যাওয়া তহবিল থেকে। পূর্ব বর্ধমানের রায়না- ২ ব্লকের নন্দনপুর গ্রামের এই ঘটনা জেলায় রাজনৈতিক মহলেও রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে ওই গ্রামের

মেঘালয়ের মাওলিনং থেকে অনুপ্রেরণা

আমিনুর রহমান, বর্ধমান, ২২ জুন — পঞ্চায়েত নয় গ্রামের লোকজন একজোট হয়ে নিজেরাই তৈরি করছেন রাস্তা। আর রাস্তা তৈরীর টাকার যোগান আসছে ওই এলাকারই প্রতিষ্ঠিত এক মহিলার রেখে যাওয়া তহবিল থেকে। পূর্ব বর্ধমানের রায়না- ২ ব্লকের নন্দনপুর গ্রামের এই ঘটনা জেলায় রাজনৈতিক মহলেও রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে ওই গ্রামের মাতৃ গৃহের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ডঃ ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য চৌধুরী তার রেখে যাওয়া অর্থ ও ডাঃ উদয় চৌধুরী এবং গ্রামবাসীদের সাহায্যে শুরু হলো রাস্তা সারাইয়ের কাজ।

দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামে রাস্তার অবস্থা বেহাল। মানুষজনের হাঁটাচলা করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই মাতৃগৃহ নামক এক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এবং তার প্রতিষ্ঠাতা ডঃ ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য চৌধুরীর রেখে দেওয়া অর্থ সাহায্যের মাধ্যমে পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না- ২ ব্লকের উচালন অঞ্চলের নন্দনপুর গ্রামে রাস্তা তৈরি শুরু হলো। এছাড়াও গ্রামবাসী সহ বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ অর্থ সাহায্য করেছেন বলে জানা গেছে। আর এই রাস্তা তৈরীর কাজে হাত লাগিয়েছেন গ্রামেরই মানুষজন। ভালো করে খুঁড়ে সেখানে মোরাম দেওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কাজ হচ্ছে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায়। নন্দনপুর সাধুর ঢাল থেকে ডাক্তার ঢাল পর্যন্ত রাস্তাটি তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও যে রাস্তাগুলির সংস্কারের প্রয়োজন আছে সেই রাস্তা গুলিও নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে বলে এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন।

মেঘালয়ের সব থেকে পরিচ্ছন্ন গ্রাম ” মাওলিনং থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে নন্দনপুর গ্রামে। এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসী। মাওলিনং গ্রামে সাধারণ মানুষ নিজেদের গ্রাম নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রেখেছেন । আর তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে পঞ্চায়েত। তাই সেই গ্রামের অনুকরণেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নির্মল গ্রাম গড়ে তোলাই একমাত্র লক্ষ্য গ্রামবাসী সহ উদ্যোক্তাদের। তবে শুধুমাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই নয় পাশাপাশি গ্রামে সবুজায়ন করতে বৃক্ষরোপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আপাতত পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে নন্দনপুর গ্রামকে সর্বাধিক পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। তারপর সারা ভারতবর্ষের মধ্যে সর্বাধিক পরিচ্ছন্ন গ্রাম হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করার ক্ষেত্রে আশাবাদী বলে জানান ডাঃ উদয় চৌধুরী। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কে রাস্তা তৈরীর বিষয়ে জানানো হয়েছে। রাস্তা তৈরীর অনুমতি মেলার পাশাপাশি আগামীতে রাস্তা তৈরির খরচ দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পঞ্চায়েত। কিছুদিনের মধ্যেই বর্ষাকাল শুরু হয়ে গেলে রাস্তা তৈরি করা আর হবে না। তাই রাস্তা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন অন্যতম উদ্যোক্তা স্বপন সেন। এই রাস্তা তৈরি হলে এলাকার সাধারণ মানুষ ভীষণভাবে উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষার ডাক দিয়ে গ্রামবাসীরা সচেতনতার ডাক দিয়েছেন। আর এই ধরনের উদ্যোগে জেলার রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে।