দিল্লি, ২১ এপ্রিল— লোকসভা ভোটের মধ্যে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন রাহুল গান্ধি৷ ফলে রবিবার তিনি রাঁচিতে ইন্ডিয়া জোটের মেগা ব়্যালিতে অংশ নিতে পারলেন না৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাহুলের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন জয়রাম রমেশ৷ ভোটের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেশ কয়েকটি কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাঁকে৷ এছাড়াও মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারেও থাকছেন না তিনি৷ এক দফা ভোটের পর এবার দ্বিতীয় দফার ভোটের অপেক্ষা৷ শাসক-বিরোধী সবাই প্রচারের ময়দানে৷ তারই মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন কংগ্রেস নেতা৷
সাতনা ও রাঁচিতে ছিল ইন্ডিয়া জোটের এই কর্মসূচি৷ সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের৷ রবিবার মধ্যপ্রদেশের সাতনায় একটি সভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাহুল গান্ধির৷ সেখান থেকে রাঁচিতে ইন্ডিয়া জোটের সভায় বক্তৃতা দেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল৷ কিন্ত্ত রবিবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানান, আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রাহুল গান্ধি৷ তাঁর পক্ষে দিল্লি ছেড়ে বেরনো আপাতত অসম্ভব৷ কিন্ত্ত রাহুলের ঠিক কী ধরণের শারীরিক অসুস্থতা হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত খবর মেলেনি৷ কর্মী-সমর্থকদের একাংশের অনুমান, প্রবল গরমে লাগাতার প্রচার করতে হচ্ছে কংগ্রেস নেতাকে৷ এই তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে অসুস্থ হন তিনি৷
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ এপ্রিল রয়েছে লোকসভা ভোটের দ্বিতীয় দফা৷ এই পর্বেই ভোট রয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী রাহুলের ওয়েনাড় কেন্দ্রে৷ নিজের আসনে ভোটের আগে তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা৷ আমেঠি থেকে রাহুল গান্ধি আদৌ ভোটে লড়বেন কি না, তা নিয়ে নানা জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে৷ রাহুল গান্ধি নিজেও এই নিয়ে কিছু স্পষ্ট করেননি৷ তা নিয়ে কটাক্ষও করেছেন নরেন্দ্র মোদি৷ তাঁর কথায়, ‘আমেঠি থেকে পালিয়েছেন রাহুল গান্ধি৷ এবার ওয়েনাড় আসনেও মুখ থুবডে় পড়বেন তিনি৷ তারপর কংগ্রেসের তরফে রাজপুত্রের জন্য অন্য একটি নিরাপদ আসন খুঁজতে হবে৷ ‘
এখনও উত্তর প্রদেশের আমেঠি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেনি কংগ্রেস৷ ২০১৯ সালে এই আসনেই স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান রাহুল৷ দিল্লির রামলীলা ময়দানের পর এবার রাঁচিতে ইন্ডিয়া জোটের মেগা ব়্যালি৷ রাহুলের পরিবর্তে ইন্ডিয়া জোটের সভায় যোগ দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ তিনিই সভায় বক্তৃতা দেন৷ রাঁচি সমাবেশে আপ-এর তরফে ছিলেন তিহার জেলে বন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা৷ জেএমএম-এর আমন্ত্রণে আয়োজিত এই সমাবেশের নাম দেওয়া হয় ‘উলগুলান ন্যায় সভা’৷ কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, এনসিপি শারদ গোষ্ঠী, শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠী, সিপিআই, সিপিআইএম, ন্যাশনাল কনফারেন্স, আম আদমি পার্টি, ডিএমকে-সহ বিরোধী শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন৷ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয় এই সমাবেশে৷ মূলত হেমন্ত সোরেন ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিরোধিতা করতেই এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়৷
প্রথম দফার ভোটের পর আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোট৷ তার আগে ইন্ডিয়া জোটের তরফে কী বার্তা আসে তার দিকে লক্ষ্য রয়েছে রাজনৈতিক মহলের৷