ভালোবাসা দিয়ে ঘৃণার রাজনীতিকে পরাস্ত করবে, বিজেপিকে নিশানা রাহুলের

বিজেপি-আরএসএস ঘৃণা ছড়াচ্ছে। ভালোবাসা দিয়ে আমরা সেই ঘৃণাকে পরাস্ত করব। বৃহস্পতিবার হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে এভাবেই বিজেপিকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। 

একটি জনসভা থেকে রাহুল বলেন, বিজেপি ও আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ) ঘৃণা ছড়াচ্ছে। ঘৃণা দূর করতে হবে। লড়াইটা ভালোবাসা আর ঘৃণার মধ্যে। হরিয়ানায় যে ছোট দলগুলি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তারা বিজেপির এ, বি, সি এবং ডি দল। কংগ্রেস দলকে ভোট দিন এবং বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরান। 

কর্মসংস্থান ইস্যুতেও এদিন বিজেপিকে একহাত নেন রাহুল। কংগ্রেস সাংসদের কথায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হরিয়ানার কয়েকজন যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। তাঁরা আমাকে বলেছে, হরিয়ানাতে কাজ না পাওয়ার কারণেই তাঁরা আমেরিকা আসতে বাধ্য হয়েছেন। ৫০ লক্ষ টাকার লোন নিয়ে তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। 


গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে রাহুলের তোপ, বিজেপি সরকার হরিয়ানার সর্বনাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে ব্যাখ্যা করতে পারবেন না যে তিনি কীভাবে হরিয়ানাকে বেকারত্বের তালিকার শীর্ষে নিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘কোটিপতিদের’ সরকার চালান। তিনি ২০-২৫ জনের জন্য ১৬ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছেন। হরিয়ানার কৃষক, শ্রমিক ও গরিবদের কতটা ঋণ মকুব করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী?

লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ভাষণ দেওয়ার সময় বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন। রাহুল বলেন, আমরা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত র‍্যালি করেছি আর বিজেপি খুলেছে ‘নফরত কি বাজার’, আমরা খুলেছি ‘মহব্বত কি দুকান’। আমরা ভালোবাসা ও একতার কথা বলি, ওরা ঘৃণা ছড়ায় আর দেশকে ভাঙার চেষ্টা করে। বিজেপি ও আরএসএস সংবিধানকে ধ্বংস করছে। কংগ্রেস মতাদর্শগত যুদ্ধ লড়ছে। একদিকে সংবিধান ধ্বংসের আদর্শ, অন্যদিকে সংবিধান রক্ষার আদর্শ।

প্রসঙ্গত, হরিয়ানা ভোট হচ্ছে একদফায়। আগামী ৫ অক্টোবর হরিয়ানায় ভোটগ্রহণ। ৯০টি বিধানসভা আসন রয়েছে হরিয়ানায়। ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৪০টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হল হয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছিল ৩০টি আসন।