পুরুলিয়ার সিমাফোর টাওয়ার

জয়চণ্ডী পাহাড় সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলে চিহ্নিত৷ পাহাডে়র চূড়ায় আছে মা জয়চণ্ডীর মন্দির৷ মন্দিরে ওঠার পথে মাঝামাঝি জায়গায় ডানদিকে পডে় সিমাফোর টাওয়ারটা৷ জয়চণ্ডী পাহাডে়র চূড়া থেকে দেখলে ওয়াচ টাওয়ারের মতো মনে হয়৷ এবার পুরুলিয়া জেলার সিমাফোর টাওয়ার নিয়ে লিখেছেন সুখেন্দু হীরা৷

ইংরাজিতে বিখ্যাত উক্তি ”Knowledge is Power” অর্থাৎ ‘জ্ঞান-ই শক্তি’৷ জ্ঞান কি? জ্ঞান হল কোনও ব্যক্তি বা ঘটনা সম্পর্কে জানা, কোনও বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকা, কোনও বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা অভিজ্ঞতা বা শিক্ষার মধ্যে দিয়ে, বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য (Information) সংগ্রহ করা, ইত্যাদি, ইত্যাদি৷ এক কথায় বলা যায় জ্ঞান হল তথ্যের সমাহার৷ তাই যার কাছে যত বেশি তথ্য, সে তত বেশি শক্তিশালী৷
এই কারণে যে সংবাদ মাধ্যম যত বেশি হাঁডি়র খবর সংগ্রহ করতে পারবে, তাঁরা তত বেশি জনপ্রিয়৷ যে ইলেকট্রনিক মিডিয়া যত আগে খবর ধরিয়ে ব্রেকিং নিউজ দিতে পারবে বা গোপন খবর জোগাড় করে এক্সক্লুসিভ করতে পারবে তাঁর টি.আর.পি. তত বেশি৷ যে রাজনৈতিক দল যত বেশি মানুষের মনের খবর রাখতে পারবে, তাঁর তত বেশি জয়জয়কার৷ আমাদের সমাজেও যে ব্যক্তির কাছে যত বেশি তথ্য ভাণ্ডার, তিনি আমাদের চোখে তত বেশি জ্ঞানী৷ তবে জ্ঞানটা তত্ত্বজ্ঞান না হয়ে প্রয়োগমুখী হতে হবে অর্থাৎ যার প্রয়োগে বা সাহায্যে মানুষের কল্যাণ হবে৷

রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও এই তথ্যের আহরণ দরকার৷ প্রজারা কী চাইছে? কী ভাবছে? কোথাও কোনও বিদ্রোহের আগুন তুষের তলায় চাপা পডে় আছে কিনা? বহিঃশত্রুদের মতিগতি কী? এই সব তথ্য সংগ্রহ করার জন্য যুগ-যুগান্ত থেকে রাষ্ট্র নিয়োগ করেছে গুপ্তচর; সৃষ্টি করেছে তথ্য সংগ্রহের নানা ব্যবস্থাপনা৷ সঠিক তথ্যের মাধ্যমে নানা অসুবিধার কথা জানতে পেরে রাষ্ট্র আগাম ব্যবস্থা নিয়ে সমাধান করে চলেছে নানা সমস্যার৷


শুধু তথ্য সংগ্রহ করলে হবে না! তথ্যকে সঠিক জায়গায় পাঠাতে হবে৷ এই তথ্য বা বার্তা পাঠানোর জন্য মানুষ প্রাচীন কাল থেকেই নানা পন্থা অবলম্বন করেছে৷ ধাপে ধাপে সাহায্য নিয়েছে – সূর্যালোক, আগুন, আলো, চিঠি, পায়রা, পতাকা, টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, ওয়্যারলেস, email, নানা সোশ্যাল মাধ্যম, ইত্যাদি, ইত্যাদি৷ এর মধ্যে আলো, আগুন, সূর্যালোক এবং পতাকার মাধ্যমে সরাসরি সংবাদটি পাঠানো যায় না৷ এর সাহায্যে চিহ্ন বা সংকেত মাধ্যমে বার্তা বা সংবাদ পাঠাতে হয়৷ এই ব্যবস্থাপনাটিকে বলে সিমাফোর৷
১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম থেকে বারাণসীর কাছে চুনার ফোর্ট পর্যন্ত সংবাদ আদান প্রদান করার জন্য সিমাফোর টাওয়ার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়৷ ১৮২১ সালে লেফটেন্যান্ট ওয়েস্টনের নেতৃত্বে কাজ শুরু হয়৷ ১৮৩০ সালে সিমাফোর টাওয়ারে কাজ বন্ধ হয়ে যায়৷ কারণ ততদিনে তারের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা টেলিগ্রাফ চালু হয়ে যায়৷ এই কারণে চুনার দুর্গ পর্যন্ত সিমাফোর টাওয়ার নির্মাণ শেষ হয়নি৷

প্রথম টাওয়ারটি আছে ফোর্ট উইলিয়ামে৷ হাওড়ায় দুটি, হুগলীতে চারটি, বাঁকুড়ায় সাতটি নির্মাণ হয়েছিল৷ ফোর্ট উইলিয়ামের পর মহিয়ারী ও বড়গাছিয়া৷ এই দুটি হাওড়া জেলার মধ্যে পডে়৷ এরপর দিলাকাশ, হায়াৎপুর, মোবারকপুর, নবাসন; এগুলি হুগলী জেলায় অবস্থিত৷ বাঁকুড়া জেলার সিমাফোর টাওয়ার গুলোর অবস্থান ছিল বৈতলকুলি, রাধামোহনপুর, বেন্দা, শালঘাটা, বাঁকুড়া শহরের মাচান তলা, কামারকুলি ও আড়ড়া৷

তারপর সিমাফোর টাওয়ারের লাইন পুরুলিয়া জেলা হয়ে বিহার (বর্তমানে ঝাড়খণ্ড) রাজ্যে প্রবেশ করেছে৷ সিমাফোর টাওয়ার গুলো উত্তর-পশ্চিমমুখী এক সরলরেখায় এইসব জায়গাগুলোকে অতিক্রম করেছে৷ হাওড়া, হুগলী এবং বাঁকুড়ার সিমাফোর টাওয়ার দর্শন শেষ, তাই আমাদের যাত্রা এবার পুরুলিয়া জেলার সিমাফোর টাওয়ারের খোঁজে৷

হিসাব মতো বাঁকুড়া জেলার ছাতনা থানার আড়ড়ার পর সিমাফোর টাওয়ার হওয়া উচিত পুরুলিয়া জেলার কাশীপুর থানা এলাকায়৷ আমার এক পরিচিত অফিসার গিরিধারী রায় কাশীপুর থানায় পোস্টিং ছিল৷ তাঁর মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে একটা সিমাফোর টাওয়ারের ছবি তুলে পাঠাই৷ সেই ছবি সে সমস্ত ভিলেজ পুলিশের মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়৷ উত্তর মিলল বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত ভিলেজ পুলিশের কাছ থেকে৷ এই সিমাফোর টাওয়ারটা আছে বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ধনরডিহি গ্রামের পাহাডে়৷ সেই ছবি আমার মোবাইলে চলে এলো৷ হ্যাঁ এই জিনিসটা!

গিরিধারী এখানেই থেমে থাকলেন না৷ তিনি আরও খোঁজ নিয়ে জানালেন সাঁওতালডিহি থানা এলাকায় পাহাডি়গোড়া গ্রামেও একটি এরকম টাওয়ার আছে৷ সেটার ছবিও তুলে পাঠালেন৷ বাকিগুলো পুরুলিয়া গিয়ে খুঁজে নেব৷ এবার শুধু পুরুলিয়া যাওয়ার অপেক্ষা৷

যাওয়ার আগে একদিন পুরুলিয়ার অ্যাডিশনাল এস.পি. (হেডকোয়ার্টার)-এর কাছ থেকে পুরুলিয়ার জয়চণ্ডী পাহাডে়র একটা “বার্ড’স আই ভিউ” ছবি পেলাম৷ তাতে দেখতে পেলাম জয়চণ্ডী পাহাডে় দোতলা সিমাফোর টাওয়ার৷ পাহাডে়র ওপরে বলে চারতলা করার প্রয়োজন হয়নি৷ যেমন ধনরডিহি গ্রামের সিমাফোরটা দোতলা৷

সবই ঠিক আছে, শুধু দূরত্ব আর সরল বৈখিক ব্যাপারটা পুরোপুরি মিলছে না৷ আমরা জেনেছিলাম ৮ মাইল অর্থাৎ ১২ কিমি দূরে দূরে এই টাওয়ারগুলো হয়৷ এক্ষেত্রে দূরত্ব বেশি হয়ে যাচ্ছে৷ আর একদম সরবৈখিক হচ্ছে না৷ তিনটি টাওয়ার সরল রৈখিক হওয়ার প্রয়োজন নেই পরপর৷ ভূমিরূপ, জমির প্রাপ্যতা অনুযায়ী টাওয়ারগুলো কিঞ্চিৎ সরে যেতে পারে৷ আর একটি টাওয়ার মাঝখানে কোথাও হলে দূরত্বের ব্যাপারটা সুচারুভাবে মিটে যায়৷ এসব ভেবে দেখলাম সরেজমিনে ব্যাপারটা দেখে আসলে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতে পারে৷ অবশেষে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে, শীত বিদায়ের আগে চললাম পুরুলিয়া৷

ধনরডিহি গ্রামের সিমাফোর টাওয়ার: বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত, কাশীপুর থানা:
বাঁকুড়ার ছাতনা থেকে যে রাস্তাটা আড়ড়া হয়ে পুরুলিয়ার কাশীপুর বা রঘুনাথপুর গেছে সেই রাস্তার তালাজুডি় বাইপাস মোড় তিন কিলোমিটার বামে ধনরডিহি গ্রাম৷ মৌজার নাম পলসরা-২৷ গ্রামের শেষে একটা পাহাড়৷ পাহাডে়র ওপরে মাচান অর্থাৎ সিমাফোর টাওয়ার৷ এই কারণে পাহাড়টির নাম মাচান পাহাড়৷ ঘন গাছ-পালায় আবৃত পাহাড়৷ উঠতে লোভেই হল৷ পথ দেখিয়ে নিয়ে চলল বড়রা গ্রাম-পঞ্চায়েতের ভিলেজ পুলিশ গোপাল ক্ষেত্রপাল৷ উঠতে সামান্য পরিশ্রম হল৷ হয়তো বয়স জনিত কারণে৷ তবে সিমাফোর টাওয়ার পর্যন্ত পৌঁছানো খুব একটা কঠিন নয়৷

সবুজ পাহাডে় ইতস্তত পাথরের বোল্ডার ছড়ানো৷ আগেই বলেছি দোতলা সিমাফোর টাওয়ার৷ ছাদ বহুদিন আগেই চলে গেছে, অভ্যন্তরে কোথাও কাঠের চিহ্ন নেই৷ শুধু ইটগুলে এখনও সংলগ্ন থেকে ইমারতটি ধরে রেখেছে৷ জানিনা কতদিন আর এভাবে ইতিহাস ধরা থাকবে৷

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন এটা ব্রিটিশরাই বানিয়েছিল শত্রুদের ওপর লক্ষ্য রাখার জন্য৷ মাঝে কুঁয়ো ছিল৷ মাঝে একসময় এক সাধু আশ্রম করেছিলেন৷ বর্তমানে সর্বঅর্থেই পরিত্যক্ত৷

জয়চণ্ডী পাহাডে় সিমাফোর টাওয়ার: থানা রঘুনাথপুর
জয়চণ্ডী পাহাড় পুরুলিয়ার অত্যন্ত একটি জনপ্রিয় পর্যটক স্থল৷ এই জায়গার সঙ্গে জডি়য়ে আছে বাংলার গর্ব, বিশ্ববরণ্যে চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের নাম৷ কারণ এই পাহাডে় দৃশ্যায়ন হয়েছিল বিখ্যাত সিনেমা ‘হীরক রাজার দেশে’৷

জয়চণ্ডী পাহাড় সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলে চিহ্নিত৷ পাহাডে় ওঠার জন্য কংক্রিটের সিঁডি় আছে৷ পাহাডে়র চূড়ায় আছে মা জয়চণ্ডীর মন্দির৷ কংক্রিটের সিঁডি় বেয়ে মন্দিরে ওঠার পথে মাঝামাঝি জায়গায় ডানদিকে পডে় সিমাফোর টাওয়ারটা৷ স্থানীয় লোকেরা বলে রাজার ওয়াচ টাওয়ার৷ জয়চণ্ডী পাহাডে়র চূড়া থেকে দেখলে ওয়াচ টাওয়ারের মতো মনে হবে৷ এখনেও ছাদ নেই৷ কাঠের পাটাতন গুলোর কোনও চিহ্ন নেই৷
ধনরডিহি সিমাফোর টাওয়ার থেকে জয়চণ্ডী পাহাডে়র আকাশ পথে (Aerial Distance) দূরত্ব প্রায় ১৭.১৫ কিমি৷ যা দুটো সিমাফোর টাওয়ারের মধ্যেকার সাধারণ দূরত্ব ১২.৮ কিমি থেকে বেশি৷ এই দুই সিমাফোর টাওয়ারের মধ্যে কোনও মাচানের অস্তিত্ব নেই৷ শোনা যাচ্ছিল রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত বেরো পাহাডে় একটি এরকম টাওয়ারের অস্তিত্ব ছিল৷ পাহাড় কেটে পাথর সরিয়ে নেওয়ার সময় এই টাওয়ার নষ্ট হয়ে যায়৷

ধনরডিহি গ্রাম থেকে বেরো পাহাডে়র ‘এরিয়াল ডিসট্যান্স’ ১৫ কিমি৷ আবার বেরো থেকে জয়চণ্ডী পাহাডে়র এরিয়াল দূরত্ব ৯.৮ কিমি৷ এবং এগুলি এক রেখার ওপরও নয়৷ তাই বেরোতে সিমাফোর টাওয়ার ছিল, এই চিন্তা আমরা বাদ দিলাম৷

দেউলি পাহাডি়গোড়া সিমাফোর টাওয়ার: সাঁওতালডিহি থানা:
জয়চণ্ডী পাহাডে়র পর পরবর্তী সিমাফোর টাওয়ার পাহাডি়গোড়ায়৷ জয়চণ্ডী থেকে পাহাডি় গোড়ার আকাশ পথে দূরত্ব ২১ কিমি এটা বড্ড বেশি৷ আমরা মাঝে একটা টাওয়ার খোঁজার চেষ্টা করলাম৷ গুগল ম্যাপ সার্চ করে দেখলাম একটা জায়গায় সিমাফোর টাওয়ার বলে একটা জায়গা৷ সেখানে পৌঁছে দেখি সেটি একটি ইটভাটা৷ আর ইট ভাটার চিমনিটাকে কেউ ‘সিমাফোর টাওয়ার’ বলে গুগুল ম্যাপে উল্লেখ করে দিয়েছে৷ আমরা গিয়ে ইটভাটার ম্যানেজারের ওপর হম্বিতম্বি শুরু করে দিয়েছি, ‘একটা ঐতিহাসিক নিদর্শনকে ইটভাটার চিমনি বানিয়ে দিয়েছেন৷ ইটভাটায় গিয়ে চিমনি ভিতরে গিয়ে ঢুকলাম৷ ভাগ্যিস তখন ইটভাটায় আগুন ছিল না৷ এই প্রথম ইটভাটার ‘ভাটা’র অভ্যন্তরে এবং চিমনির ভিতরে ঢুকলাম৷ বেশ অভিনব অভিজ্ঞতা৷ ভালো করে পরখ করে বুঝতে পারলাম, এটা চিমনি সিমাফোর টাওয়ার নয়৷ জায়গাটা ছিল বান্দা দেউল মন্দিরের কাছাকাছি৷

তবে জয়চণ্ডী ও পাহাডি়গোড়ার সামনে একটি সিমাফোর টাওয়ার থাকা অস্বাভাবিক নয়; আবার না থাকাটাও স্বাভাবিক৷ পাহাডি় অঞ্চলে উঁচু শিখর থেকে খুব সহজেই দূরবর্তী অঞ্চলে দৃষ্টি চলে যায়৷ তাই এখানে টাওয়ারদুটোর মধ্যে বেশি দূরত্ব৷ আবার ধনরডিহি, জয়চণ্ডী ও পাহাডি়গোড়া এক সরল রেখাতেও অবস্থান করেছে না৷ তবে সব সময় এমনটা হবে, তা নয়৷ যেমন হাওড়া জেলার ‘মহিয়ারী’র টাওয়ারটা সরলরেখা থেকে সামান্য দক্ষিণে অবস্থিত৷

যাই হোক আমরা রঘুনাথপুর থেকে দুবড়া হয়ে ঝাড়খণ্ডের চন্দনকিয়ারির রাস্তা ধরলাম৷ পথে পড়ল পাহাডি়গোড়া মোড়৷ আমাদের জায়গাটা দেখাতে উপস্থিত ছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার নারদ বাউডি়৷
মোড় থেকে বাঁদিকে ১০০ মিটার ঢুকলেই সিমাফোর টাওয়ার৷ সমতল ভূমি হওয়ার দরুন এই টাওয়ারটি চারতলা বিশিষ্ট৷ স্থানীয় লোকেরা জায়গাটিকে মন্দির গোড়াও বলেন৷ কারণ অনেকে এটাকে মন্দির বলেন৷ যেমন কলকাতার কাছাকাছি জেলাতে গির্জা বলেন৷ এখানে অনেকে মাস্তুল বলেন, কেউ বলেন মিনার৷ কেউ বলেন টাওয়ার৷ অনেকে বলেন উপরে নাচ-গান হতো৷ অনেকে আবার বলে সৈন্যসামন্ত উঠে দেখতো, যাতে কাশিপুর রাজাকে কেউ আক্রমণ করতে না পারে৷

এখানে এসেই শুনলাম পরের সিমাফোর টাওয়ার মাচান বাবুডি, ঝাড়খণ্ডের চন্দনকিয়ারি থানার অন্তর্গত৷ পরের সিমাফোর টাওয়ার অভিযানে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করতে হবে৷