নিজস্ব প্রতিনিধি– মঙ্গলে অমঙ্গলের ঘটনা ঘটলো বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের৷ এদিন তাঁকে রীতিমতো হেনস্থা করা হয় খোদ হাইকোর্টের মধ্যেই৷ গত সপ্তাহে হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি৷ এদিন প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির পর আদালত চত্বরেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে৷ মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে ছিল নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি৷ সেই শুনানি শেষ হওয়ার পর বিকাশ বাবু এজলাসের বাইরে আসতেই তাঁকে ঘিরে ধরে একদল ব্যক্তি৷ তাঁরা বলতে শুরু করেন, ‘আপনার জন্য প্যানেল বাতিল হচ্ছে’৷ কোনও ক্রমে সেখান থেকে বেরিয়ে যান বিকাশ ভট্টাচার্য৷ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ ২০১৪ সালের টেট নিয়োগেও দুর্নীতির ইঙ্গিত মিলেছে৷ প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই রিপোর্টে উঠে এসেছে ব্যাপক বেনিয়মের ইঙ্গিত৷ নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে নিয়োগ থেকে শুরু করে পাশ না করা প্রার্থীদের বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে৷ মঙ্গলবার সেই তথ্য বিচারপতি মান্থার এজলাসে পেশ করেছে সিবিআই৷ এই নিয়ে মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য জানানোর কথা ছিল৷ কিন্ত্ত এদিন আরও কয়েকজন প্রার্থী মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানান৷ আদালত সবাইকে মামলায় যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয়৷ মামলা শেষে এজলাস থেকে বেরিয়ে অন্য এজলাসে যাচ্ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য৷ তখনই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ কেন তিনি আদালতে এই ধরনের সওয়াল করছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন কেউ কেউ৷ তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বলেন, ‘আপনার জন্যই প্যানেল বাতিল হয়েছে৷’ তাঁকে ঘিরে ফেলা হলে এজলাসের বাইরে কর্তব্যরত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওই জায়গা থেকে বের করে দেয়৷ ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা থেকে ২০১৬, ২০২০, ২০২২ ও ২০২৪ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ হয়েছে৷ আদালত এদিন পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে, এই টেট মামলার ফল যদি নেতিবাচক হয়, তাহলে এর উপর ভিত্তি করে হওয়া সব নিয়োগ মামলা অস্তিত্ব হারাতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে গত চার দফায় যে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষক প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছে, তাদের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা আইনজীবীদের৷ আগামী আট সপ্তাহ পরে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে৷ তার আগে সব পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে বলে জানা গেছে৷