কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কেরলের ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়ছেন।বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে এবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আক্রমণ করলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বিজয়নের অভিযোগ, ‘কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জামাত-ই-ইসলামির সমর্থনে ওয়েনাড় লোকসভা উপনর্বাচনে লড়াই করছেন।’ একটি ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দাবি করেছেন, ‘ওয়েনাড়ের উপনির্বাচন কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ খুলে দিয়েছে।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সেখানে জামাত-ই -ইসলামির সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে, কংগ্রেসের অবস্থানটা ঠিক কি ? আমাদের দেশ জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে অপরিচিত নয়। সেই সংগঠনের আদর্শ কি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে মেলে ?’
বিজয়ন আগেও ‘ইসলামি মৌলবাদী শক্তি’র সঙ্গে কংগ্রেসের বোঝাপড়ার অভিযোগ করেছেন। বিজয়ন বলেছেন, ‘জামাত ই-ইসলামি জাতি বা গণতন্ত্রকে মূল্য দেয় না। এই সংগঠন ওয়েলফেয়ার পার্টির মাধ্যমে ছদ্মবেশে কাজ করছে। এই মুখোশ জম্মু-কাশ্মীরেও স্পষ্ট ছিল।’ কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ‘জামাত ই-ইসলামি দীর্ঘদিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল। পরে তারা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়।’ কেরলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইউডিএফের দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি ‘ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ’-এর বিরুদ্ধেও বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বিজয়ন ওয়েনাড়ে বাম প্রার্থীর সমর্থনে সভায় বক্তব্য রাখার সময় একই অভিযোগ করেছিলেন। রাহুল গান্ধী ওয়েনাড় এবং রায়বেরিলি উভয় আসনেই গত লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। ২ টি কেন্দ্রেই সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী হন তিনি। পরে ওয়েনাড় আসনটি ছেড়ে দেওয়ায় সেখানে উপনির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। দাদার ছেড়ে দেওয়া আসনে বোন প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।
ওয়েনাড়ে আগামী ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন। সেখানে প্রিয়ঙ্কার মূল লড়াই প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের রাজ্য সহ-সম্পাদক সত্যেন মোকেরি এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নব্যা হরিদাসের বিরুদ্ধে।