• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী আদবানির হাতে ‘ভারতরত্ন’ তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

দিল্লি, ৩১ মার্চ: আজ রবিবার প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে গেলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আদবানি অসুস্থ থাকায় তাঁর নিউ দিল্লির বাড়িতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি। তিনি নিজে আদবানির হাতে গিয়ে তাঁকে দেশের সেরা নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’ তুলে দেন। আজ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

দিল্লি, ৩১ মার্চ: আজ রবিবার প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে গেলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আদবানি অসুস্থ থাকায় তাঁর নিউ দিল্লির বাড়িতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি। তিনি নিজে আদবানির হাতে গিয়ে তাঁকে দেশের সেরা নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’ তুলে দেন। আজ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রবীণ রাজনীতিক আদবানির পরিবারের সদস্যরা।

রাষ্ট্রপতি ভবনের নিজস্ব এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, “শ্রী আডবাণী, ভারতীয় রাজনীতির একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি। তিনি সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে অটুট নিষ্ঠা ও স্বাতন্ত্র্যের সাথে জাতির সেবা করেছেন। ১৯২৭ সালে করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন আদবানি। তিনি ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পটভূমিতে ভারতে চলে আসেন। তাঁর সাংস্কৃতিক ও জাতীয়তাবাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গত কয়েক দশক ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ ও পূর্ব থেকে পশ্চিম জুড়ে, আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে একটি বড় পরিবর্তন এনেছেন। যখন জরুরি অবস্থা ভারতের গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছিল, তখন তাঁর মধ্যে অদম্য ধর্মযুদ্ধ কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার বিরুদ্ধে রক্ষা করতে সাহায্য করেছিল।”

প্রসঙ্গত এই বছর সরকার পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘ভারতরত্ন’ ঘোষণা করে। বাকি চার জনের মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাও, চৌধুরী চরণ সিং, দেশের বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরী ঠাকুর। গত শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চারজনকে মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ সম্মান প্রদান করা হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে সেই সম্মান তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু আদবানি শারীরিকভাবে ভালো না থাকায়, তিনি সেদিন রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি। সেজন্য তাঁর বাসস্থানে গিয়ে দেশের শ্রেষ্ঠ এই নাগরিক সম্মান প্রদান করা হয়।