এক্সিট পোলের ভোট সমীক্ষার সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রশান্ত কিশোর

দিল্লি, ২ জুন– গত ১ জুন, শনিবার সপ্তম অর্থাৎ শেষ দফার ভোট পর্ব মিটতেই টিভি চ্যানেলগুলোতে শুরু হয় এক্সিট পোলের সম্ভাব্য ফল প্রকাশ। আর সেই ফলে মোদী হাওয়ার ঝড় তোলা হয়েছে। জাতীয় স্তরে এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি তথা এনডিএ-র জয় জয়কার দেখানো হয়েছে। কিন্তু এই ভোট সমীক্ষার বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থার বিশ্লেষণকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। পাশাপাশি দেশের মানুষকে সতর্ক করে পিকে বলেছেন, এইসব ভোটপণ্ডিতদের বিশ্লেষণ শুনে নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করতে।

প্রসঙ্গত গতকাল বুথ ফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সম্ভবত তৃতীয় বার সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। সেই বুথ ফেরত সমীক্ষার সম্ভাব্য ফলাফলে মোদির স্লোগান তোলা, ‘ইস বার ৪০০ পার’ না হলেও তার কাছাকাছি পৌঁছানোর সম্ভাব্য ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ চলতি ২০২৪ সালের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ ৩৫৩ থেকে ৩৮৩ আসন পেতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

যদিও পিকে নিজেই বিজেপি এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৩০৩-এর বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অন্য সমীক্ষক সংস্থা জানায়, ৩৬১ থেকে ৪০১টি আসন বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা পেতে পারে। এমন ভবিষ্যদ্বাণীও করেছে কেউ কেউ। যা ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের থেকেও ভালো ফলের দিকেই ইঙ্গিত করছে। আর এই এক্সিট পোল প্রকাশ পাওয়ার পরই পিকের পোস্টে স্পষ্টতই খোঁচা লক্ষ করা গেল। কিন্তু এক্সিট পোলে যে হিসেব দেওয়া হয়েছে সেই সমীক্ষাকে অবাস্তব বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি এই ভোট বিশ্লেষণকে মান্যতা দিতে রাজি হননি।


এব্যাপারে প্রশান্ত কিশোর তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে নিজের মতামত ও উপদেশ ব্যক্ত করেছেন। তিনি পোস্ট করেছেন, ‘‘পরের বার যখন নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা এবং রাজনীতির আলোচনা হবে, তখন অকার্যকর কথাবার্তা, ভুয়ো সাংবাদিক, নিজের ঢাক নিজে পেটানো রাজনীতিবিদ এবং সমাজমাধ্যমে স্বঘোষিত ভোটপণ্ডিতদের বিশ্লেষণে আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না।’’

উল্লেখ্য, পূর্বে প্রশান্ত কিশোর দেশের জাতীয় স্তরের একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,‘‘বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ এ বারের লোকসভা ভোটেও ‘ক্লিন সুইপ’ করবে (নিরঙ্কুশ জয় পাবে)। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি ৩০৩টি আসনে জিতেছিল। এ বারও তাদের প্রাপ্ত আসন তার আশপাশেই থাকবে। এমনকি, ৩০৩ ছাড়িয়েও যেতে পারে।’’ এমন পূর্বাভাসের কারণ কী? পিকের জবাব ছিল, ‘‘মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে, এমন কথা দেশের কোনও প্রান্ত থেকেই শুনিনি।’’