পাঁচ বছরের প্রতিশ্রুতির তালিকা প্রকাশ কাকলির

তালিকায় রইলো প্রত্যেক বিধানসভার নাম

নিজস্ব প্রতিনিধি— চব্বিশের নির্বাচন শেষ হতে বাকি মাত্র আর তিন দিন৷ এর মাঝেই বড় ঘোষণা করলেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তিনবারের সাংসদ তথা চতুর্থবারের তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার৷ নির্বাচনে জিতে আগামী পাঁচ বছর কি কি করবেন কাকলি, তা জানিয়ে দিলেন নির্বাচনের আগেই৷ কেবল মুখের কথা নয়, একটি সম্পূর্ণ উন্নয়নমূলক কার্যের তালিকা প্রকাশ করেছেন কাকলি৷ সেই তালিকাতেই বর্ণিত হয়েছে আগামীদিনে কিভাবে ‘উন্নয়নের অশ্বমেধের ঘোড়া’ ছুটবে বিস্তীর্ণ বারাসাত লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে৷ এই কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা৷ প্রত্যেকটি বিধানসভাই পাবে উন্নয়নের ছোঁয়া৷ সম্প্রতি কাকলি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, “সুদীর্ঘ পনেরো বছর ধরে এই কেন্দ্রের মানুষের প্রায় সব সমস্যাই মিটিয়ে দিয়েছি৷ কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলোর কাজ চলছে৷ তবে এবার জিতে কি কি করবো তা আগে থেকে বলা যায়না, কিন্ত্ত উন্নয়নের কাজ, মানুষকে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ সারা বছরই থাকে৷ আমার কেন্দ্রের প্রতিটি রাস্তাঘাট থেকে মানুষের বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া কিংবা হাসপাতালের উন্নতিকরণ সবই আমি করেছি৷ সুতরাং এই উন্নয়ন যখন শুরু হয়েছে, তা আগামীদিনেও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং এই কেন্দ্রে আমার হাত ধরে চলতে থাকবে৷” এরমধ্যেই সেই জল্পনার ইতি টেনে একটি তালিকা প্রকাশ্যে আনলেন কাকলি, যা দেখে আশ্বস্ত হলেন বারাসাতবাসীও৷

তবে কি কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিদায়ী সাংসদ? তাঁর প্রতিশ্রুতির তালিকাটা বেশ বড়৷ বারাসাত বিধানসভার জন্য কাকলির লক্ষ্য, বারাসাত মেডিকেল কলেজে ট্রমা সেন্টার স্থাপন পাশাপাশি এনজিওগ্রাফি এবং এনজিওপ্লাস্টি ব্যবস্থা করা, পানীয় জলের বর্ধিত যোগান দেওয়া, আর্ট গ্যালারি স্থাপন, হকার্স কর্নার নির্মাণ এবং বারাসাতকে যানজট মুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তোলা৷ মধ্যমগ্রাম বিধানসভায় কাকলির লক্ষ্য, গ্রামীণ হাসপাতালের উন্নতিকরণ এবং শুটি খাল-বিদ্যাধরী পর্যন্ত সম্প্রসারণ৷ অশোকনগর বিধানসভায় কাকলির লক্ষ্য, ভূগর্ভস্থ তৈল খনিতে বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, হাসপাতালগুলিতে আইসিসিইউ ওয়ার্ড নির্মাণ পাশাপাশি হাসপাতালে ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা করা৷ হাবড়া বিধানসভার জন্য তাঁর প্রতিশ্রুতি, যশোর রোডের পার্শ্ববর্তী হকার্স কর্নার নির্মাণ এবং হাসপাতালগুলির উন্নতিকরণ৷


দেগঙ্গা বিধানসভার জন্য কাকলির প্রতিশ্রুতি, বিশ্বনাথপুর এবং কোলসুর হাসপাতালের উন্নয়ন, চন্দ্রকেতুগড় মিউজিয়াম এবং দেগঙ্গার বাস রুটের সম্প্রসারণ৷ রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভার জন্য কাকলির লক্ষ্য, প্রতি অঞ্চলের মধ্যে কিষান মার্কেট স্থাপন, ইলেকট্রিক বাস সার্ভিস চালু করা, পরিশ্রুত পানীয় জল এবং ড্রেনের ব্যবস্থা করে দেওয়া৷ অবশেষে বিধাননগর বিধানসভার জন্য কাকলির প্রতিশ্রুতি হলো, সব ওয়ার্ডে ইলেকট্রিক বাস সার্ভিস চালু করা, রাস্তাঘাট ও সরকারি হাসপাতালের সংস্কার, আর্ট গ্যালারি স্থাপন প্রভৃতি৷ এছাড়াও এমন বহু উন্নয়নমূলক কাজই কাকলি সারা বছর করে থাকেন, যার উল্লেখ আগে থেকে করা হয়না বা তিনি করেন না৷ বিগত পনেরো বছরে তিনি নিজ কেন্দ্রকে এক নতুন পরিচিতি দিয়েছেন রাজ্যের দরবারে৷ ঠিক সেই কারণেই চতুর্থবারও দল ভরসা করেছে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের ওপরেই৷