নিজস্ব প্রতিনিধি— স্টিং অপারেশনে সন্দেশখালিতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে কি বিজেপির লোকেরাই ফাঁসালেন? এই প্রশ্ন তুলে দিল সন্দেশখালির রাস্তাঘাটে দেখা মেলা একাধিক পোস্টার৷ ওই এলাকার অন্য এক মণ্ডল সভাপতির নাম দিয়ে পোস্টার পডে়ছে৷ যেখানে বিজেপির বসিরহাট সংগঠনিক জেলার সভাপতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় ভোটের ঠিক মুখে নতুন অস্বস্তিতে বিজেপি৷
সম্প্রতি সন্দেশখালি নিয়ে একাধিক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা হয়নি)৷ যা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল৷ রাজ্যের শাসকদলের দাবি, সন্দেশখালিতে যে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তা ‘সাজানো’ এবং বাংলাকে কলুষিত করতেই সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে ধর্ষণের ‘মিথ্যা অভিযোগ’ দায়ের করানো হয়েছে৷ গোপন ক্যামেরায় বন্দি এক ভিডিয়োয় বিজেপিরই সন্দেশখালি-২-এর মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, সেখানকার আন্দোলন গোটাটাই ‘সাজানো’৷ আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ কাউকে ধর্ষণ করা হয়নি৷ পরে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সন্দেশখালির মহিলা অভিযোগকারিণীরাও৷ একের পর এক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে৷ যদিও ওই সমস্ত ভিডিয়োরও সত্যতা যাচাই করা হয়নি৷ ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর সন্দেশখালি নিয়ে ‘চাপে’ বিজেপি৷ দিল্লির নেতাদের কাছ থেকেও এ বিষয়ে বিশেষ কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷ এই প্রেক্ষিতে এ বার জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ সন্দেশখালি৷ যা ভোটের আগে বিজেপির অস্বস্তি বৃদ্ধি করবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ বিজেপি নেতা শান্তনু পাইক অবশ্য পোস্টার দেওয়ার দায় অস্বীকার করেছেন৷ তিনি বলছেন, ‘পোস্টারের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না৷ আমার বদনাম করার জন্য এবং জেলা সভাপতি তাপস ঘোষের বদনাম করতে তৃণমূল চক্রান্ত করে এই পোস্টার লাগিয়েছে৷’
তাপস বলছেন, ‘শান্তনু পাইকের উপর আমার পুরো ভরসা আছে৷ শান্তনুরও আমার উপর পুরো ভরসা আছে৷ শান্তনু এই ধরনের পোস্টার লাগাতেই পারেন না৷ আমি বিশ্বাস করি না৷ এটা তৃণমূলের ষড়যন্ত্র৷ সন্দেশখালিতে তৃণমূল হারতে বসেছে৷ সেটা তৃণমূল জেনেও গিয়েছে৷ সেই কারণে একের পর এক বিভিন্ন রকমের ভিডিয়ো, পোস্টার মেরে বিজেপির বদনাম করার চেষ্টা করছে৷’এবিষয়ে সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই৷’