উপনির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেল প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরজ।বিহারের উপনির্বাচনে ৪টি কেন্দ্রেই হেরে গিয়েছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল। উপনির্বাচনের আগে নিজের দল ঘোষণা করেছিলেন পিকে। ৪ কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিলেন তিনি। সবগুলি কেন্দ্রেই বিপুল ব্যবধানে হার হল প্রশান্তর দলের প্রার্থীদের। চারটি কেন্দ্রের মধ্যে চারটিতেই প্রশান্ত কিশোরের দলের প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে৷
বিহারের চার কেন্দ্র ইমামগঞ্জ, তারারি, রামগড় এবং বেলাগঞ্জে উপনির্বাচন ছিল৷ ইমামগঞ্জে জন সুরোজ পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন জিতেন্দ্র পাসোয়ান। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ১০৩টি ভোট। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝির পুত্রবধূ দীপা মাঝি ৫৩ হাজার ৪৩৫টি ভোট পেয়ে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন। বেলাগঞ্জে প্রার্থী হয়েছিলেন মহম্মদ আমজাদ। তিনি পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৮৫টি ভোট। এই আসনে জয়ী হয়েছেন জেডিইউ-এর প্রার্থী মনোরম দেবী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭৩ হাজার ৩৩৪। রামগড়ে প্রার্থী হয়েছিলেন সুশীল কুমার সিং। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৫১৩টি ভোট। এই কেন্দ্রে ৬২ হাজার ২৫৭টি ভোট পেয়ে জিতেছেন বিজেপির অশোক কুমার সিং। রামগড়ে আসনে চতুর্থ হয়েছেন জন সুরজ পার্টির প্রার্থী৷ তারারি কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছিলেন কিরণ সিং। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৯২টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী বিশাল প্রশান্ত এই আসনে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৫৬৪টি ভোট। তারারি, বেলাগঞ্জ এবং ইমামগঞ্জে প্রশান্ত কিশোরের দলের প্রার্থীরা তৃতীয় স্থান পেয়েছেন৷ প্রথম চেষ্টাতেই বড় ধাক্কা খেলেন এই বিখ্যাত ভোট কুশলী৷
গত ২ অক্টোবর নিজের দলের সূচনা করেছিলেন পিকে। তিনি বলেছিলেন, ২০২৫ সালে বিহার নির্বাচনে ২৪৩টি আসনেই প্রার্থী দেবেন প্রশান্ত। কিন্তু তার আগে বিহারের উপনির্বাচনে ৪ প্রার্থীই বড় ব্যবধানে হেরে গেলেন।
বিভিন্ন দলের হয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ভোটকুশলীর ভূমিকা পালন করে এসেছেন প্রশান্ত কিশোর। ভোট জয়ের কৌশল নিয়ে পথ দেখিয়েছেন। কিন্তু নিজের দলের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কাজে লাগল না পিকে ম্যাজিক। এবার বিধানসভায় তিনি রণনীতি নেন তার অপেক্ষা।