আবেদন খারিজ হতেই কংগ্রেসকে ১৭০০ কোটির নোটিশ আয়কর দফতরের

দিল্লি, ২৯ মার্চ– এক দুই নয়, ১৭০০ কোটির নোটিশ হাতে পেয়েই কংগ্রেসের কোমর ভেঙে পড়ল৷ সম্প্রতি যে কংগ্রেসকে ভাড়ার শূণ্য বলে ক্রাউড ফান্ডিং-এ নামতে হয়েছিল তার কাছে ১৭০০ কোটির নোটিশ যে মাথায় বাজ পড়ার মতো তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ গতকাল, বৃহস্পতিবারই দিল্লি হাইকোর্ট কংগ্রেসের চারটি পিটিশন খারিজ করে দেয়৷ ২০১৭ থেকে ২০২১, চারটি অর্থবর্ষে কংগ্রেসের আয়কর রিটার্নের হিসাব পুনঃমূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়কর বিভাগ৷ সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হাত শিবির৷ এর আগে ২২ মার্চ, কংগ্রেসের আরেক আবেদনও খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা এবং বিচারপতি পুরুষৈন্দ্র কুমার কৌরবের বেঞ্চ জানিয়েছিল, এই বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করতে চায় না৷ পিটিশন খাজির হওয়ার পর মনে করা হচ্ছিল, হাত শিবিরকে আয়কর বকেয়া বাবদ ৫০০ কোটি টাকা মেটাতে হতে পারে৷ কিন্ত্ত ১৭০০ কোটির নোটিশ পেয়ে দিশেহারা রাহুল-খাড়গেরা৷ হাত শিবিরের অভিযোগ, আয়কর নিয়ে ডামাডোল আসলে মোদি সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা৷ এর পিছনে মূল উদ্দেশ্য গণতান্ত্রিক অধিকার কেডে় নেওয়া৷

এর আগে, বকেয়া কর হিসাবে কংগ্রেসকে ১০৫ কোটি টাকা দেওয়ার নোটিশ দিয়েছিল আয়কর দফতর৷ সেই নোটিশে স্থগিতাদেশ চেয়েও দিল্লি হাইকোর্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল কংগ্রেসকে৷

বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন ইনকাম ট্যাক্স আপিল ট্রাইবু্যনালের আদেশে নাক গলানোর প্রয়োজন বোধ করছেন না তাঁরা৷ তবে কংগ্রেস দলকে, এই আদেশ স্থগিত করার জন্য আপিল ট্রাইবু্যনালে নতুন করে আবেদন করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত৷ এবার ১৭০০ কোটি টাকা দেওয়ার নোটিশের বিরুদ্ধেও কংগ্রেস ফের আবেদন করে কিনা, সেটাই দেখার৷  খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করছে বিবেক তাঙ্খা৷


নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১, এই চার অর্থবর্ষে কংগ্রেসের আয়কর রিটার্নের হিসেব ধরে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷ এতে জরিমানা ও সুদ সবই ধরা হয়েছে৷

উল্লেখ্য, আয়কর নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসের প্রধান ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় আয়কর বিভাগ৷ এর পর গত ২১ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন অভিযোগ করেন, আয়কর দপ্তর নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে তাদের ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ৬৫ কোটি টাকা জরিমানা হিসাবে কেটে নিয়েছে৷