আশাবাদী তৃণমূল, কয়েকটি ধাপে উপনির্বাচন চায় কমিশন

Election Commission of India (Photo: IANS TWITTER)

বাংলার ৭ টি আসনে কয়েকটি ধাপে উপনির্বাচন করতে চায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস। পুজোর আগেই এই উপনির্বাচনে তৎপরতা দেখাক কমিশন, তা চাইছে এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। যদিও কমিশন জানিয়েছে – ‘কমিশনের উদ্দেশ্য ভােট করা স্থগিত করা নয়।

তৃনমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান – ‘সংবিধানের ৩২৪ নং অনুচ্ছেদ মেনে নির্বাচন কমিশন কাজ করুক, তা আমরা চাইছি। একুশে বিধানসভা নির্বাচনে যেসব রাজনৈতিক প্রার্থীদের ভােটের সময় কিংবা ফলপ্রকাশের পর মৃত্যু ঘটেছে। সেসব আসন গুলির উপনির্বাচন থমকে রয়েছে মারণ ভাইরাস করােনার বাড়বাড়ন্তের জন্যে।

তবে বর্তমান পরিস্থিতি আলাদা। এই সপ্তাহে উপনির্বাচনের আওতায় থাকা সাত বিধানসভা কেন্দ্রে কোভিড় প্রায় শূন্য। তা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এর পাশাপাশি সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি দলের পক্ষ থেকেও স্বতন্ত্র মতামত জমা দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনকে।


আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত চেয়েছে নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ। পাঁচ জেলায় সাত বিধানসভার কেন্দ্রে কোন সপ্তাহে কত জন আক্রান্ত, কতটা বাড়লাে, কতটা। কমলাে তা গ্রাফ করে জানাবে তৃণমূল কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ জেলায় পড়ছে দুটি কেন্দ্র। গত একদেড় সপ্তাহে করােনা পজিটিভ শুন্য।

জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জ দুটি কেন্দ্রে করােনার নুন্যতম প্রকোপ নেই। এই দুই কেন্দ্রে প্রার্থীদের মৃত্যু ঘটেছিল। কোচবিহারের দিনহাটার বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক সাংসদ পদে বহাল থাকায়, তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। তাই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন।

গত এক সপ্তাহে এখানে করােনা পজিটিভ দু চারজন। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা ভােটে জিতেও মারা যান ফলাফল প্রকাশের পর। তাই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এখানে তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী শােভনদেব চট্টপাধ্যায়।

যিনি ভবানীপুর আসনে জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্য ছেড়েছে। খড়দহে গত এক সপ্তাহে করােনা পজিটিভ ৫ থেকে ৮ জন। ভবানীপুর কেন্দ্রে করােনার নুন্যতম প্রকোপ নেই। গােসাবা কেন্দ্রে করােনার প্রকোপ নেই।

এইসব দাবি, তথ্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশন কে মতামত জানিয়েছে ভােটপূর্ব দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য।

অপরদিকে বিজেপির দাবি, যদি সত্যিই করােনার প্রকোপ শুন্য থাকে তাহলে মহামারী আইনে কেন তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনুমতি বাতিল করা হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে। লােকাল ট্রেন কেন চালু হচ্ছে না? এইসব তথ্যপ্রমাণ দিয়ে বিজেপিও এই সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনকে মতামত জানাচ্ছে বলে জানা গেছে।