• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন বিরোধী দলনেতা, দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের

আমরা যে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম, তার মধ্যে সব বিচারাধীন নয়। আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি তো বিচারাধীন নয়! তা ছাড়া, সরাসরি সম্প্রচার হলে নির্যাতিতার বাবা-মাও তা দেখতে পেতেন।' তাঁরা আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ তাঁরা চাননি।

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ আনলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানান, আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাইলে তা মেনে নেওয়া হবে না। পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তাররা আরও জানান, বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় তাঁরা হতাশ হয়েছেন। তবে ৫টি দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

প্রথম থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন শাসকদলের নেতা নেত্রীরা। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চিকিৎসকদের অবস্থান মঞ্চে একাধিক বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি সম্প্রতি বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে শুনতে হয়েছে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। এর আগে বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ককে দেখেও ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, কয়েকজন বহিরাগত মদ, গাঁজা খেয়ে এই স্লোগান দিয়েছেন। যদিও শুক্রবার জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, এই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তাঁদের তরফেই তোলা হয়েছিল।

এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়, ‘যাঁরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করতে চেয়েছেন, প্রথম থেকেই আমরা তাঁদের বিরোধিতা করেছি। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বা অগ্নিমিত্রা পালের মতো নেতা-নেত্রীকেও আন্দোলনের মঞ্চ থেকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয়েছে।’

এদিন সরাসরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কথায়, ‘বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আমাদের আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে নেমেছেন। এই ঘটনা (গো ব্যাক স্লোগান) নাকি দুশ্চরিত্র বহিরাগতের ষড়যন্ত্রের ফলে ঘটেছে। আমরা সুস্পষ্ট ভাবে তাঁকে এবং অন্য যাঁরা আমাদের আমাদের আন্দোলনকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ব্যবহার করতে চান, তাঁদের বলতে চাই, এই নিয়ে আগেও যা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলাম, আবার একই জানাব।’

বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক ভেস্তে যাওয়া নিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রশাসনিক বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করেন। তাই এ ক্ষেত্রেও আইনভঙ্গের কিছু দেখিনি। আমরা যে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম, তার মধ্যে সব বিচারাধীন নয়। আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি তো বিচারাধীন নয়! তা ছাড়া, সরাসরি সম্প্রচার হলে নির্যাতিতার বাবা-মাও তা দেখতে পেতেন।’ তাঁরা আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ তাঁরা চাননি।