রাত পোহালেই ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন। একই সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যেও উপনির্বাচন রয়েছে বুধবার। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সহ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর অভিযোগ, ‘সাম্প্রদায়িক বিষ’ ছড়িয়ে সমাজকে মেরুকরণ করাই তাঁদের একমাত্র কাজ।
কংগ্রেসের কমিউনিকেশন বিভাগের সেক্রেটারি ইন-চার্জ রমেশের অভিযোগ, মেরুকরণ ছাড়া বিজেপির আর কোনও ইস্যু নেই। ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতারা যেভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে তাঁরা বিস্মিত ও ভীত।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়রাম রমেশ বলেন, আমাদের নন-বায়োলজিক্যাল প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপির অন্যান্য নেতারা ঝাড়খণ্ড-মহারাষ্ট্রে যেভাবে প্রচার চালাচ্ছেন, তাতে বোঝাই যাচ্ছে তাঁরা ভয় পেয়েছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাদের যেমন ফলাফল হয়েছিল, তা থেকে একটুও উন্নতি করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদী, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রীর একমাত্র উদ্দেশ্য সামাজিক মেরুকরণ। চূড়ান্ত মেরুকরণ। শত্রুতা ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানো। মেরুকরণ ছাড়া তাঁদের আর কোনও অ্যাজেন্ডা নেই।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, মহা বিকাশ অঘাদি (এমভিএ) জোট কৃষক, মহিলা, যুবদের ইস্যু নিয়ে প্রচারের সময় কথা বলছে। তবে বিজেপি কেবল মেরুকরণের দিকে কাজ করেছে। তিনি আরও বলেন, ঝাড়খণ্ডেও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) সহ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে যুক্ত দলগুলি আগামী পাঁচ বছরের জন্য রোডম্যাপ তুলে ধরছে যাতে আদিবাসী, এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য কাজ করার বার্তা রয়েছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপি ঠিক কতটা ভয় পাচ্ছে।
৮১ আসনবিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ১৩ নভেম্বর এবং ২০ নভেম্বর ভোট হবে। ২৮৮ আসনবিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ভোট হচ্ছে একদফায়, ২০ নভেম্বর। গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।