সৈয়দ হাসমত জালাল: কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে এ দেশের লোকসভা ও সমস্ত রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন একই সঙ্গে করা হোক৷ আর তা করা যায় কি না, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গড়েছিল সরকার৷ সেই কমিটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে৷ এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগে কোনও কমিটির নেতৃত্বে কখনওই কোনও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে রাখা হয়নি৷ এক্ষেত্রে রামনাথ কোবিন্দকে কমিটির শীর্ষে রেখে মোদি সরকার বিষয়টির গুরুত্ব সম্পর্কে দেশ ও বিদেশের কাছে একটি বার্তা দিতে চেয়েছে৷ তাছাড়া প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ যে সরকারের ইচ্ছার পক্ষেই মত দেবেন, তা সহজবোধ্য৷
২০২৯ সাল থেকে সারা দেশে একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন করার পক্ষে মত দিয়ে কোবিন্দ কমিটি প্রায় ১৮ হাজার পাতার একটি প্রস্তাব ও প্রতিবেদন জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে৷ সেই প্রস্তাবে এই লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচনের ১০০ দিনের মধ্যে পৌরসভা ও পঞ্চায়েতের নির্বাচনগুলিও করে নেওয়া যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে৷ কিন্ত্ত এভাবে একসঙ্গে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে সংবিধানে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনতে হবে, এ কথা জানিয়েছে এই কমিটি৷
কারা ছিলেন এই কমিটিতে? প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভার বিরোধী নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি, প্রাক্তন এবং দলত্যাগী কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হরিশ সালভে এবং অর্থ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এন কে সিং প্রমুখ৷
এই প্রস্তাবের, খুব স্বাভাবিকভাবেই, বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷ যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বোঝাতে চাইছে, বিজেপি এবং তার সঙ্গে এনডিএ জোটের অন্যান্য দলগুলি মিলিয়ে ৩২টি দল এই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি রূপায়ণের পক্ষে৷ অন্যদিকে ১৫টি বিরোধী দল এই নীতির পক্ষে৷ বিরোধীদের মতে, এই এনডিএ জোটের মুষ্টিমেয় কয়েকটি দল ছাড়া আর সবই তো নামমাত্র দল, তাদের ক্ষমতাই বা কতটুকু৷ আর কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, আম আদমি পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টির মতো প্রধান সব দলই এর বিরোধী৷ এরপর পাঁচের পৃষ্টায়