• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মমতা-অভিষেকের পরামর্শে ডেপুটি স্পিকার পদে ঠিক করা হল প্রার্থী, চমক ‘ইন্ডিয়া’র 

প্রশান্ত দাস: এনডিএ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতায় আসতেই একের পর এক চমক দিচ্ছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। কখনও নিট কাণ্ডে ইন্ডিয়া জোট সংসদে তুলছে ঝড়, আবার কখনও স্পিকার নির্বাচন নিয়েও জোরালো করছে কণ্ঠস্বর। এবার লোকসভার ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে চমক দিতে চাইছে ইন্ডিয়া জোট৷ স্পিকার পদপ্রার্থী হিসাবে কে.সুরেশকে কংগ্রেসের একক ভাবে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত মোটেই ভাল লাগেনি

প্রশান্ত দাস: এনডিএ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতায় আসতেই একের পর এক চমক দিচ্ছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। কখনও নিট কাণ্ডে ইন্ডিয়া জোট সংসদে তুলছে ঝড়, আবার কখনও স্পিকার নির্বাচন নিয়েও জোরালো করছে কণ্ঠস্বর। এবার লোকসভার ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে চমক দিতে চাইছে ইন্ডিয়া জোট৷ স্পিকার পদপ্রার্থী হিসাবে কে.সুরেশকে কংগ্রেসের একক ভাবে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত মোটেই ভাল লাগেনি তৃণমূল কংগ্রেস তথা বাকি ইন্ডিয়ার শরিক দলের৷ তা বুঝিয়েও দেওয়া হয়েছে রাহুল-খাড়্গেদের৷ এই প্রসঙ্গে জোরালো প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল। এবার তাই সর্বসম্মতভাবে নাম স্থির করা হয়েছে ডেপুটি স্পিকারের পদপ্রার্থীর৷ তবে কে তিনি? তিনি হলেন উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ কেন্দ্র থেকে জয়ী সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অবধেশ প্রসাদ। আর এই সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা-অভিষেক।
সূত্রের খবর, প্রথমে ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচনের জন্য নিজেদের প্রার্থী দিতে চায়নি তৃণমূল৷ পরে যৌথ ভাবেই কংগ্রেস ও অন্যান্য শরিকদলের সামনে অবধেশ প্রসাদের নাম প্রস্তাব করা হয়৷ আর তাতেই সমর্থন পাওয়া গিয়েছে কংগ্রেসের৷ ডেপুটি স্পিকার পদপ্রার্থীকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন  কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সমাজবাদী পার্টির লোকসভার দলনেতা অখিলেশ যাদব। তাঁদের যৌথ আলোচনায় যোগদান করেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় গণতন্ত্রের অলিখিত রীতি অনুযায়ী, ডেপুটি স্পিকারের পদটি দেওয়া হয় বিরোধীদের। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকার গত পাঁচ বছর ডেপুটি স্পিকার পদটি ফাঁকা রেখেছিল। বস্তুত বিরোধীরা মনে করছে, ডেপুটি স্পিকার পদটি না দিয়ে আগের পাঁচ বছর তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এবার অন্তত সরকারের উচিত ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধীদের দেওয়া। সেই মতো এই পদে প্রার্থী নির্বাচন করেছে ইন্ডিয়া জোট। এর আগে স্পিকার পদের কে.সুরেশকে একক ভাবে প্রার্থী করা নিয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের ঠান্ডা লড়াই চলেছিল। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ফোন করে এবং অভিষেকের সাথে সংসদের অভ্যন্তরে কথা বলে এই উষ্ণ ভাব প্রশমন করেছিলেন রাহুল। এবার তৃণমূল তথা ইন্ডিয়ার যৌথ সিদ্ধান্তে ডেপুটি স্পিকারের পদ আলোকিত হতে চলেছে সংসদের বুকে।