• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

দিল্লি পৌঁছেই দলীয় সাংসদদের সহিত ঘরোয়া আলোচনা মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি: বহু জল্পনায় ইতি টেনে শুক্রের বিকেলেই দিল্লি পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। একে একে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি গুলি পূরণ করেছেন। তার মধ্যে মমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ছিল, দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক। এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একযোগ হয়েছিলেন লোকসভা ও রাজ্যসভার দলীয় সাংসদগণ। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তাঁরই আদর্শে বেড়ে ওঠা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক

নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি: বহু জল্পনায় ইতি টেনে শুক্রের বিকেলেই দিল্লি পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। একে একে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি গুলি পূরণ করেছেন। তার মধ্যে মমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ছিল, দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক। এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একযোগ হয়েছিলেন লোকসভা ও রাজ্যসভার দলীয় সাংসদগণ। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তাঁরই আদর্শে বেড়ে ওঠা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও বৈঠকের মধ্যমণি হন। মমতার নির্দেশে লোকসভায় দলীয় কার্যকলাপ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব বর্তমানে অভিষেকের হাতেই অর্পিত। সেই সূত্রে মমতার সাথে অভিষেকও দলীয় সাংসদদের এদিন লোকসভার দলীয় গতিবিধি সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ দেন। সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মমতার স্পষ্ট বার্তা, এনডিএ-র বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া যাবে না কেন্দ্রের এই নড়বড়ে জোট সরকারকে। পাশাপাশি, বিজেপি যে ‘বাংলা ভাগের চক্রান্ত’ করছে তার বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে হবে বাংলার সংহতি রক্ষার্থে। ‘ইন্ডিয়া’ জোটে তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থানকে জোরদার করতে হবে। সাংসদদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর মূলত নতুন সাংসদদের ভালো ভাবে কাজ শেখার নির্দেশ ও পরামর্শ দেন মমতা। যাঁরা ‘সিনিয়র’ অর্থাৎ অভিজ্ঞ সাংসদ তাঁরা যেন নতুনদের তৈরি হতে সাহায্য করেন, সেই বার্তাও দেন মমতা। উল্লেখ্য, মমতা নিজেও ৭ বারের সাংসদ। তাই তার ঝুলিতে রয়েছে ব্যাপক অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি তার দলীয় সাংসদদের বেশ কিছু পরামর্শ দেন। পাশাপাশি নিজ সংসদীয় এলাকায় উন্নয়নমূলক কার্যের মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন সাংসদদের।

মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দলীয় সাংসদদের বৈঠক তথা সৌজন্য বিনিময়ের ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস লেখে, “বাংলার হকের জন্য যে সাংসদরা প্রতিদিন সংসদে সোচ্চার হচ্ছেন, তাঁদের উজ্জীবিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর উপস্থিতি সাংসদদের মধ্যে বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগাবে।” এর থেকেই স্পষ্ট হয়, মুখ্যমন্ত্রী মূলত নবনির্বাচিত সাংসদদের ঢাল হয়ে দাঁড়াতেই এই বৈঠক ডেকেছেন। নতুন এনডিএ সরকার দুর্বল, বেশিদিন এই সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না, এই কামনা এবং মন্তব্য পূর্বেই করেছেন মমতা। কোন রণকৌশল নীতিতে এনডিএ সরকারকে চাপে ফেলে বাংলার হকের অর্থ আদায় করা যায়, এদিন তারই রূপরেখা তৈরী করে নিলেন মমতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ অর্থাৎ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে আয়োজিত নীতি আয়োগের বৈঠকে অবশেষে যোগ দিচ্ছেন মমতা। নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। অবিজেপি রাজ্যের প্রায় সব মুখ্যমন্ত্রীরা এই বৈঠক বয়কট করলেও যোগ দিচ্ছেন মমতা। তার একটাই কারণ, নীতি আয়োগের বৈঠককেই বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা জানানোর প্রতিবাদ মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগের রাতেই সেড়ে দিলেন ঘরোয়া আলোচনা।