উপনির্বাচনে তৃণমূলকে ড্যামেজ করতেই পুরনো ভিডিয়ো ছড়ানো হয়: মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উপনির্বাচনের ঠিক প্রাক মুহূর্তে আড়িয়াদহে গণপিটুনির ঘটনায় ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বিরোধী শিবিরকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মুম্বই যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, উপনির্বাচন প্রভাবিত করতেই পুরনো এই ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে। তিনি বিজেপি ও সংবাদ মাধ্যমকে নিশানা করে বলেন, ‘উপ নির্বাচনে তৃণমূলকে ড্যামেজ করতেই ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে পুরনো ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনাগুলি ২০২১ সালের। তখন সাংসদ ছিলেন অর্জুন সিং।’

যদিও তৃণমূল নেত্রী এদিন নির্দিষ্ট কোনও ভিডিও-র কথা উল্লেখ করেননি। তবে তিনি আড়িয়াদহের ঘটনাকে ইঙ্গিত করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। মমতা এদিন বিমানবন্দরের সামনে দাঁড়িয়ে আরও বলেন, ‘গোটা বিষয়টি যাচাই না করেই খবর ছড়ানো হচ্ছে। তিলকে তাল করে দেখানো হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই আড়িয়াদহের ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা দোষ করেছে তারা জেলে রয়েছে।’‌

এদিকে এই ঘটনায় পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ‘‌দুর্ভাগ্য যে, মুখ্যমন্ত্রী জানেন না বেলঘরিয়া ব্যারাকপুরের মধ্যে পড়ে, নাকি দমদমের মধ্যে পড়ে। দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। জয়ন্ত একটা ডাকাত একটা চোর। ২০২১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তাণ্ডব করেছিল। আর আমাকে নিশানা করেছেন, আমাকে খুব ভালবাসেন তো।’‌


প্রসঙ্গত একের পর এক গণপিটুনির ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে এবার সামনে এসেছে আড়িয়াদহ ঘটনার ভিডিও। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। যেখানে দেখা গিয়েছে, নির্মমভাবে এক নাবালকের গোপনাঙ্গ সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে।

অন্যদিকে আড়িয়াদহের মা–ছেলেকে মারধরের ঘটনায় জয়ন্ত সিং ইতিমধ্যেই জেলে রয়েছে। জেলে থাকাকালীনই ওই পুরনো ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তার ভিত্তিতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে। জয়ন্তর সাত শাগরেদকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালেই জয়ন্তের ‘ডানহাত’ লাল্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‌আর কোনও খবর নেই। একটাই খবর। তৃণমূল দেখলেই জব্বর খবর। আর যে মানুষগুলি শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিল। একটা মানুষ ভুল করতে পারে, হাজারটা নয়। যদি কেউ করে থাকে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে। ২৯ জন গ্রেফতার হয়েছে।’‌ তিনি ফের বলেন, ‘উপ নির্বাচনে একটা বুথে কী হয়েছে, সেটাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। বাকি জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে যে মানুষ ভোট দিয়েছেন, তা দেখানো হচ্ছে না।’