১৯৬২ র পর এবারই প্রথমবার নন্দীগ্রামে সরাসরি প্রার্থী থাকছে না বামেদের। পাঁচদশকে এবারই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। জোটের স্বার্থে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রটিতে এবার প্রার্থী দিচ্ছে না বাম শরিকদল সিপিআই। আব্বাসের দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে এই আসনটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিআই।
বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে যে আসন সমঝােতা হয়েছে তারই অঙ্গ হিসাবে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রটি থেকে সিপিআই প্রার্থীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল কিন্তু সিপিএমের পক্ষ থেকে এই আসনটি ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় সিপিআইকে। বড় শরিকের দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়। শেষ পর্যন্ত বড় শরিকের চাপে নন্দীগ্রাম আসনটি আব্বাসের দলকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সিপিআই।
যেদিন সিপিআই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেদিনও আব্বাস ধর্মতলার সভা থেকে বাম ও কংগ্রেসকে খানিকটা হুমকির সুরে বলেছে দ্রুত তার দলের সঙ্গে আসন রফা না করা হলে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট একাই ভােটে লড়বে। বাম-কংগ্রেসের ডাকা ব্রিগেডেও ভাইজান অনুপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি ভােটে লড়বেন বলে অনেক। আগেই ঘােষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজা রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে এই নন্দীগ্রামের অবদান কারওর অজানা নয়। কিন্তু পার্থক্য একটাই সেদিন শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন তৃণমূলে।
আজ তিনি দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে। ফলে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির কে প্রার্থী হন তা নিয়েও কৌতুহল কোনও অংশে কম নয়।