• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

রেললাইনের পাশ থেকে বিজেপি কর্মীর ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ  উদ্ধার

খুনের অভিযোগকে ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড খায়রুল  আনাম: ভোট পরবর্তী  হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে  রাজ্যে আরও কয়েকদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তারই মধ্যে রবিবার ২৩ জুন সকালে বীরভূমের নলহাটি-চাতরা রেল স্টেশনের মাঝে পাইকপাড়া গ্রামের কাছে  একটি  গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড বেধে যায়।  ওই মৃতদেহটি নলহাটির পাইকপাড়া গ্রামের প্রদীপ

খুনের অভিযোগকে ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড
খায়রুল  আনাম: ভোট পরবর্তী  হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে  রাজ্যে আরও কয়েকদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তারই মধ্যে রবিবার ২৩ জুন সকালে বীরভূমের নলহাটি-চাতরা রেল স্টেশনের মাঝে পাইকপাড়া গ্রামের কাছে  একটি  গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড বেধে যায়।  ওই মৃতদেহটি নলহাটির পাইকপাড়া গ্রামের প্রদীপ মালের বলে শনাক্ত করা হয়। তিনি ছিলেন পেশায় টোটোচালক।  ওই ব্যক্তি বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।  বিজেপি কর্মী প্রদীপ মালের গলাকাটা মৃতদেহ রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে,  এই মৃতদেহের গায়ে রাজনৈতিক রঙ লাগতে খুব একটা  সময় লাগেনি।
বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা প্রদীপ মালের  গলাকাটা মৃতদেহ রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধারের কথা জানতে পারার পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে  যান। সেখানে জড়ো হন বহু সংখ্যক বিজেপি কর্মী। তাঁরা দাবি করেন যে, প্রদীপ মালকে গলা কেটে খুন করে রেললাইনের পাশে ফেলে দেওয়া হয়েছে।   ধ্রুব সাহা দাবি করেন যে, প্রদীপ মাল তাঁদের দলের লড়াকু কর্মী ছিলেন। প্রদীপের মৃত্যুর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। ভোটের আগেই প্রদীপের সঙ্গে প্রতিপক্ষ  রাজনৈতিক দলের ঝামেলা হয়েছিলো।  তাই তিনি প্রদীপের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ  তদন্ত দাবি করেন। রেল পুলিশ প্রদীপের মৃতদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে ময়নাতদন্তের  জন্য।
মৃত প্রদীপের পরিবার সূত্রে বলা হয়েছে, প্রদীপ  পেশায় টোটো চালক হওয়ার সুবাদে প্রতিদিনের মতো এদিনও যাত্রী পরিবহনের জন্য  ভোরে টোটো নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে  যান। প্রদীপের ভাই রঞ্জিত মাল জানিয়েছেন,  দাদা প্রতিদিনের মতো এদিনও ভোরে টোটো নিয়ে বেরিয়ে যান পেশার টানে। সকাল সাড়ে সাতটার সময় তাঁরা দাদার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ রেললাইনের পাশে পড়ে  থাকার কথা জানতে পেরে সেখানে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। এটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু না কী অন্যকিছু তা খতিয়ে দেখা হোক। পুলিশ অবশ্য মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট  হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।