ঘটনা এক গত শুক্রবার রাজ্য বিধানসভা ভবনের ভিআইপি গেট দিয়ে শপথগ্রহণ করতে ঢুকলেন বিজেপির মুকুল রায়। সাধারণত মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের মন্ত্রীরা এই গেট দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন।
ঘটনা দুই, বিধানসভার সচিবালয়ের এক আধিকারিকের সাথে একান্তে কিছু কথােপকথন। যেটা বিজেপির অন্য কোন বিধায়ক এই শপথগ্রহণ সভায় করেননি।
ঘটনা তিন, বিধানসভার অন্দরে বিপক্ষ শিবিরের দলীয় রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সাথে হাসিমুখে কুশল বিনিময়। অথচ বিজেপির বাকি বিধায়ক তৃণমূলের সন্ত্রাসে মুখর।
ঘটনা চার, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষের নির্বাচিত বিধায়কদের সভায় গড়হাজির মুকুল রায়।
ঠিক এরকম পরিস্থিতির মাঝে তৃণমূলের একদা দলবদলকারী নেতারা মমতার প্রশংসায় ভাসিয়ে দিচেছন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শপথগ্রহণের আগে দলত্যাগীদের ওয়েলকাম দিয়ে রেখেছিলেন।
এইসব রাজনৈতিক অঙ্কের মধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়কে নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন অর্থাৎ ঘরে ফেরার (তৃণমূলে) নানান ঘনঘটা। তৃণমূলে ফেরার সমত জল্পনায় শনিবার জল ঢেলে দিলেন এক টুইট করে।
তিনি টুইটারে পােস্টে জানিয়েছেন- রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরাতে বিজেপির সৈনিক হিসেবে আমার লড়াই চলবে। আমি সকলকে কল্পনা আর অনুমান বন্ধ করার অনুরােধ করছি। আমার রাজনৈতিক পথ নিয়ে সংকল্পে অবিচল আমি।
রাজনৈতিক মহলের খবর- একুশে বিধানসভার নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফল না পেয়ে নব বিজেপির একাংশকে দায়ী করছে সংঘ পরিবার। ইতিমধ্যেই তথাগত রায়ের মত বঙ্গ বিজেপির আদি নেতা সােশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের সাইক্লোন এনে দিচ্ছেন রাজ্য নেতৃত্বকে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়ে।
তাই বিধানসভায় বিরােধী দলনেতা হিসাবে মুকুল রায় কিংবা শুভেন্দু অধিকারীকে চাইছে না বলে বিভিন্ন সূত্রের দাবি। এক্ষেত্রে মুকুল রায় তার রাজনৈতিক ওজন কিছুটা বুঝিয়ে দিয়েছেন গত শুক্রবারের শপথ গ্রহণের সময়।