মুখ বন্ধ খামে নবান্নে জমা পড়ল রিপোর্ট
নিজস্ব প্রতিনিধি— সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগে লোকসভা আবহে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি৷ আর এবার সেই আবহের মধ্যেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আরও এক ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ল স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে৷
সূত্রের খবর, গত বছর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘শ্লীলতাহানি’র অভিযোগ তুলেছিলেন এক ওডিশি নৃত্যশিল্পী৷ পরে নবান্নের তরফ থেকে অভিযোগের তদন্ত ভার গ্রহণ করেছিল কলকাতা পুলিশ৷ নবান্নের নির্দেশে সেই তদন্ত ইতিমধ্যেই শেষ৷ তারই রিপোর্ট এদিন জমা পড়ল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে৷ যদিও তাতে কী রয়েছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ওই নৃত্যশিল্পীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দিল্লির এক নামি হোটেলে৷ শিল্পীর বয়ান অনুযায়ী, তাঁর বিবাহ হয়েছিল এক বিদেশি নাগরিকের সঙ্গে৷ তবে সেই সম্পর্কে টানাপোডে়নের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল৷ কিন্ত্ত বিদেশি নাগরিক হওয়ার কারণে তাঁর সঙ্গে কোনও ভাবেই বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছিল না৷ পরে রাজ্যপাল তথা সিভি আনন্দ বোস তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিবাহবিচ্ছেদ করিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন, এমনটাই দাবি অভিযোগকারিণীর৷ পাশাপাশি, ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে রাজ্যপাল নিজের বিদ্যালয়ের বন্ধু বলেও পরিচয় দেন বলে দাবি করেন নৃত্যশিল্পী৷
মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে দিল্লির ওই নামি হোটেলেই তাঁর সঙ্গে ‘অভব্য’ আচরণ করেন রাজ্যপাল৷ ঘটনার দীর্ঘদিন পর, গত বছরের অক্টোবর মাস নাগাদ ওই নৃত্যশিল্পী লালবাজারে এসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন৷ সূত্রের খবর, দিল্লির ওই হোটেল বুক করেছিলেন রাজ্যপালেরই এক আত্মীয়৷ অন্যদিকে গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে শ্লীলতাহানির অভিযোগ হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের করা হয়েছিল, তার প্রাথমিক রিপোর্টও গত শনিবার জমা পড়েছে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে৷ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই নির্বাচনী আবহে সরব হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো সহ শীর্ষ নেতৃত্ব৷ পাল্টা সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে কলকাতা পুলিশের তদন্তকে অসাংবিধানিক বলেও অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস৷ তারই মধ্যে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার প্রকাশ্যে এল আরও এক অভিযোগ৷