দিল্লি, ১৮ মে – ২০১৪ সালের ‘মোদি ঝড়’, ২০১৯ সালেও যা অব্যহত ছিল বলে মনে করা হয়, এবার ২৪-এ সেই ঝড় কোথায়? লোকসভা নির্বাচনের মাঝে এমনই প্রশ্ন তুললেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর৷ দেশে চার দফা ভোট হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ এখনও বাকি তিন দফা৷ তার মধ্যেই প্রশান্ত কিশোর ব্যাখ্যা করলেন, বর্তমানে মোদির জন্য কোনটা চ্যালেঞ্জ? প্রশান্ত কিশোরের মতে, নরেন্দ্র মোদিকে কেউ হারাতে পারবে না, এ কথা আর মানুষ বিশ্বাস করছে না৷ কোনও রাজনৈতিক দল নয়, সেই সাধারণ মানুষই এখন মোদির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ বলে দাবি করেছেন তিনি৷ তিনি বলেন, কোনও দল বা কোনও নেতা নয়, মানুষই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ৷ অন্ধ্র প্রদেশের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “যে দেশে ৬০ শতাংশ মানুষ দিনে ১০০ টাকার বেশি রোজগার করে না, সেখানে সরকার-বিরোধিতা কখনও দুর্বল হতে পারে না৷ কখনও এই ভুল করা উচিত নয়৷” তাঁর কথায়, ‘বিরোধী দল দুর্বল হতে পারে, সরকার-বিরোধী মানুষ দুর্বল নয়৷’ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন প্রশান্ত কিশোর৷ তিনি উল্লেখ করেন, ভারতে কোনও দলই ৫০ শতাংশ ভোট পায় না৷ ১০০ জন ভোট দিলে মাত্র ৪০ জন মোদির আদর্শকে সমর্থন করেন, সমর্থন করেন তাঁর কাজ, হিন্দুত্ব, রাম মন্দিরের মতো বিষয়কে৷ শুধু ৪০ শতাংশ খুশি আর ৬০-৬২ শতাংশ অখুশি৷ প্রশান্ত কিশোর বলেন, গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি দেশে একটা বড় ইসু্য, আর সেটাই মোদি তথা বিজেপির সামনে চ্যালেঞ্জ৷ তিনি মনে করেন, এই পরিস্থিতির মধ্যেও যদি বিজেপি জয়ী হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে বিরোধীদের যথেষ্ট শক্তি বা মানুষ তাদের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছে না৷ আরও উল্লেখ করেন, ‘ব্র্যান্ড মোদি’ প্রভাব আর তেমন নেই৷ তাঁর মতে, ২০১৪-তে যে ‘ক্যারিশ্মা’ কাজ করেছিল, ২০২৪-এ তা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে৷ ভোটকুশলীর কথায়, ১৪ সালে মোদিকে ঘিরে একটা উৎসাহ ছিল৷ ২০১৯-এর মানুষ ভেবেছিল, আরও ৫ বছর সময় দেওয়াই যায়৷ আর এখন মানুষ মনে করছেন, আর কেউ নেই যখন একেই ভোট দিতে হবে৷ আর কী করা যায়! আর রাম মন্দির? সেটাও বিজেপিকে কোনও অতিরিক্ত পয়েন্ট দেবে না বলে মনে করেন প্রশান্ত কিশোর৷ তাঁর দাবি, আগেও যাঁরা রামের নামে ভোট দিত, এবারও দেবে৷ এতে বিজেপির কোনও বাড়তি পাওনা হবে না৷