ইতালিতে জি-৭ সম্মেলনে মোদি-ট্রুডো কথোপকথন, শীতল সম্পর্কে উষ্ণ স্রোত

নয়াদিল্লি, ১৬ জুন:  অবশেষে দুই রাষ্ট্রের সম্পর্কের মেরামত। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর সবুজ সঙ্কেত দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন ভারত ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাস্টিন ট্রুডো। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই বার্তা দিয়েছেন ট্রুডো।

প্রসঙ্গত খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনার পর ভারত সম্পর্কে বিভিন্ন ভুল ধারণা হয় কানাডা সরকারের। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছয়। কানাডার গোয়েন্দাদের ধারণা হয়, নিজ্জর খুনের ব্লু প্রিন্ট সাজিয়েছিল ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র। আর এই গোটা প্রক্রিয়াটির নির্দেশ এসেছিল নয়াদিল্লি থেকে। যদিও কানাডা তার যুক্তির সপক্ষে কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। গোটা বিষয়টি নিয়ে কানাডা সরকার বারবার ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ফলে গত বছর জুন মাস থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

অবশেষে এক বছর পর চলতি জুন মাসে ইতালিতে জি-৭ সম্মেলনে মোদি-ট্রুডো আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেছেন বলে সূত্রের খবর। দুই রাষ্ট্রের সম্পর্কে পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হওয়ার আভাস মিলেছে। দুজনের বৈঠকে সেই শীতল সম্পর্কে কিছুটা হলেও উষ্ণ স্রোত প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। দুজনের সাক্ষাতের একটি ছবিও পোস্ট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ট্রুডো জানান, ‘আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেগুলি কী, তা নিয়ে আমি এখানে কথা বলতে চাই না। তবে আগামী দিনে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করব বলে একমত হয়েছি।’


ফলে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নিজ্জরের খুনকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লির সঙ্গে যে তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তা দূর করতে চাইছে কানাডা সরকারও। সেজন্যই জি ৭ সম্মেলনে মোদির সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন ট্রুডো।