নিজস্ব প্রতিনিধি – সপ্তম দফার মধ্য দিয়ে শেষ হলো চব্বিশের দীর্ঘমেয়াদি লোকসভা নির্বাচন৷ দক্ষিণবঙ্গের নয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ছিল শনিবার, যার মধ্যে ছিল ডায়মন্ড হারবার থেকে বসিরহাট, দমদম থেকে বারাসাত৷ পাশাপাশি ছিল বরানগর উপনির্বাচন৷ আগামী ৪ঠা জুন প্রকাশিত হবে ভোটের ফলাফল৷ ৪ঠা জুন বাংলায় তৃণমূলের জয় তো একপ্রকার নিশ্চিত, পাশাপাশি কেন্দ্রেও প্রায় তিনশো এর কাছাকাছি আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসছে ইন্ডিয়া জোট, শনিবারের সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র শশী পাঁজা এবং মন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ এদিন প্রথমেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ব্রাত্য বসু বলেন, “স্বাধীনতার পর এমন কষ্টকর নির্বাচন হয়নি৷ এই প্রচন্ড দাবদাহে কেবল একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সুবিধা করে দিতেই পরিকল্পিত ভাবে দীর্ঘকালীন নির্বাচন করা হলো৷ ভোটের মধ্যে জনসাধারণকে রীতিমতো পুড়তে দেওয়া হলো৷ তা সত্ত্বেও মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা প্রমাণ করে দিচ্ছে, তৃণমূলের ওপর আস্থা রয়েছে জনসাধারণের৷ ” তাঁর আরও সংযোজন, “দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় যেমনটা বলেছিলেন তেমনটাই হয়েছে৷ সেই সূত্রে আমরা বিজেপি কে একটি বার্তা দিতে চাই, ফাইনাল নেইল ইন বিজেপিস কফিন ইজ স্টাক৷ ” ব্রাত্য স্পষ্ট জানান, সন্দেশখালিতে মানুষ গর্জে উঠেছেন৷ তাঁর ভাষায়, “জনগর্জন শোনা গেছে বাংলার সর্বত্র৷
সন্দেশখালির জনতা সবচেয়ে বেশি গর্জে উঠেছেন৷ গত বছর ৩রা অক্টোবর থেকে এই বিজেপির পতন শুরু হয়েছিল যেদিন তৃণমূলের মহিলা প্রতিনিধিদের দিল্লির কৃষিভবন থেকে টেনে বের করে দেওয়া হয়েছিল৷ শনিবার সপ্তম দফার ভোটে তা আরও সুস্পষ্ট হলো৷ শেষ পর্বের ভোটদানের মধ্য দিয়ে দিল্লির আইফেল টাওয়ারে বসে থাকা বাংলা বিরোধীদের বিদায় নিশ্চিত করা হলো৷ ”
প্রধানমন্ত্রী শেষ দফার নির্বাচনের পূর্বেই বিবেকানন্দ রকে ধ্যানে বসেছেন৷ এ প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেছেন শশী পাঁজা৷ কটাক্ষের সুরে শশী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ধ্যানে মগ্ন হতেই পারেন৷ কিন্ত্ত ক্যামেরার সামনে কেন? আবার ধ্যানে মগ্ন থাকাকালীন টু্যইটও করছেন! ওটা মেডিটেশন নাকি মিডিয়া এটেনশন?” এরপরই ব্রাত্য বলেন, “তাছাড়াও উঁনি নিজেকেই পরমআত্মা বলেছেন, তাহলে পরমআত্মা কার ধ্যান করছিলেন?” এদিন বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটে বাংলায়৷ এ প্রসঙ্গে শশীর দাবি, “বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার জবাব মানুষ দিয়েছেন৷ ” বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগে শশী বলেন, “বিজেপির দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় আসলে নাকি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে৷ কিন্ত্ত দিন শেষে দেখা গেলো, বিজেপিই নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দোষারোপ করছে৷ সন্দেশখালিতেও চিত্র বদলেছে৷ বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যত প্রতিবাদে নেমেছেন মহিলারা৷ আদতে বিজেপি ভারতবর্ষের প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে দিয়েছে৷ সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে বাংলায়, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ছাড়া আর কিছু নয়৷ “