নিজস্ব প্রতিনিধি– লোকসভা নির্বাচন আবহে সিএএ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই মতুয়া মহাসঙ্ঘের দায়িত্ব নিয়ে ঝামেলা পৌঁছালো কলকাতা হাইকোর্টে৷ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ তার পরিপ্রেক্ষিতের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি সংসাদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর৷ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে মতুয়া সঙ্ঘের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেয়৷ এর পরই হাইকোর্টে মামলা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন শান্তনু ঠাকুর৷ তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের কাছে মামলার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল৷ সেই অনুমতি মিলেছে’৷ চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভবনা আছে ৷ মতুয়া মহাসঙ্ঘের সংঘাধিপতির পদ নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিনের৷ মাঝে মাঝে মাথা চড়া দিয়ে ওঠে সেই বিবাদ৷ সম্প্রতি মতুয়াবালা ঠাকুর অভিযোগ করেন, ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের নামে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিপুল টাকা জমা করছেন শান্তনু ঠাকুর৷ সিএএ চালু হওয়ার পর মতুয়া সঙ্ঘের কার্ড নেওয়ার চাহিদা বাডে়৷’
মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ, ‘মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, কার্ড তৈরির নামে বিপুল টাকা সংগ্রহ করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ সেই টাকা ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে জমা করছেন৷’ ব্যাঙ্কে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা জমা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি৷ থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে থানা ওই অ্যাকাউন্ট সিল করে দেয়৷ মমতাবালা সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ‘শান্তনু ঠাকুর নিজেকে সঙ্ঘাধিপতি হিসেবে দাবি করলেও সংগঠনের রিটার্ন ফাইল করেন কি?’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘একই রেজিস্ট্রেশন নম্বরে ভিত্তিতে দুটি সংগঠন চালানো হয়?’ সিএএ নিয়ে ইতিমধ্যে দু’ভাগ ঠাকুরবাডি়৷ এই আইনকে সমর্থন জানিয়ে প্রচারও করছেন শান্তনু ঠাকুর৷ অন্যদিকে মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, এই আইনে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে না৷ তা না দেওয়া হলে তিনি আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন৷ এই আইনকে কেন্দ্র করে মতুয়াদের একাংশ যেমন উৎসবে মেতেছেন৷ তেমনি একাংশ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন৷ এরই মধ্যে মতুয়া মহাসঙ্ঘের দায়িত্ব কার হতে থাকবে বিতর্ক গেল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে৷ আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে৷