• facebook
  • twitter
Saturday, 21 September, 2024

কালনায় পিছিয়ে থাকা ভোটে ভরসা মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার

নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান, ২৯ মে– মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই এবার ভোট বৈতরণী পার করবে৷ নির্বাচন পর্ব মিটে যাবার পর ঠিক এমনটাই দাবি করা হলো তৃণমূল শিবিরের পক্ষে৷ পূর্ব বর্ধমানের কালনা বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসনের মধ্যে পডে়৷ গত বিধানসভা ভোটে কালনা শহরে শাসকদল পিছিয়ে ছিল৷ আর সেজন্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অনেকটা দায়ী ছিল৷ কিন্ত্ত এরপর পৌরসভার

নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান, ২৯ মে– মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই এবার ভোট বৈতরণী পার করবে৷ নির্বাচন পর্ব মিটে যাবার পর ঠিক এমনটাই দাবি করা হলো তৃণমূল শিবিরের পক্ষে৷ পূর্ব বর্ধমানের কালনা বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসনের মধ্যে পডে়৷ গত বিধানসভা ভোটে কালনা শহরে শাসকদল পিছিয়ে ছিল৷ আর সেজন্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অনেকটা দায়ী ছিল৷ কিন্ত্ত এরপর পৌরসভার নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল৷ এবারও সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে আশাবাদী তারা৷ লোকসভা ভোটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পাশাপাশি ১৫০০ পরিবারের গৃহ নির্মাণের অনুমোদন তাদের পক্ষে যাবে বলে ঘাসফুল শিবির দাবি করছে৷

কালনা পাঁচশো বছরের প্রাচীন শহর৷ কালনা পৌরসভাও দেড়শো বছরের পুরনো৷ ভাগীরথী নদীকেন্দ্রিক মন্দিরময় ঘিঞ্জি শহর এটা৷ ১৮টি ওয়ার্ড মিলিয়ে জনসংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি৷ দীর্ঘদিন বামেদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত কালনা পৌরসভায় ২০১০ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল৷ ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে শহরের ১৮টি ওয়ার্ডে বিজেপির থেকে আড়াই হাজারের বেশি ভোটে শাসকদল পিছিয়ে ছিল৷ কিন্ত্ত এরপর পুরসভা ভোটে ১৭টি ওয়ার্ডে শাসকদলের জয় হয়৷ একটিতে সিপিএম জয়ী হয়৷ যদিও পুরনির্বাচনে তৃণমূলের এই জয়কে রিগিং বলে বিরোধীরা কটাক্ষ করেছিল৷ এবার লোকসভা নির্বাচনে মানুষের ভোট তৃণমূলের বিপক্ষে যাবে বলেই আশা করছে বিরোধীরা৷ বিজেপির নগর মণ্ডল সভাপতি সৌরভ রায় বলেন, গত বিধানসভা ভোটে শহরে আমরা এগিয়ে ছিলাম৷ পুরভোটে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি৷ শাসকদল ভোট লুট করেছে৷ এবার লোকসভা ভোটে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন৷ কালনা শহরে আমরা ১৫ হাজারের বেশি ভোটে জয়লাভ করব৷

তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই দাবিকে পাত্তা দিতে নারাজ৷ তাঁদের দাবি, এবার লোকসভা ভোটে সমস্ত ওয়ার্ডে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত৷ নেতৃত্ব জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তাতেই সুফল ভোটে মিলবে৷ শহরে প্রায় ১০ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান৷ শহরে ভোটে মহিলাদের অংশগ্রহণে উৎসাহ দেখে তাই জয়ের আশা করছেন শাসকদল৷ এছাড়া, পৌর এলাকায় ১৫০০’র বেশি পরিবার ‘হাউজিং ফর অল’ প্রকল্পে বাড়ি পাচ্ছে৷ ইতিমধ্যে এক হাজারের বেশি পরিবার তিনটি কিস্তির টাকা পেয়ে গিয়েছে৷ ঘর তৈরির কাজ চলছে৷ ফলে একদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও অন্যদিকে হাউজিং ফর অল প্রকল্পের সুবিধা শাসকদলের পক্ষে ভোট অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে৷

তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল সাংবাদিকদের বলেন, শহরে অলিগলিতে ঢালাই রাস্তা হয়েছে৷ মূল রাস্তা ঝা চকচকে৷ ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে৷ নিকাশিনালা সাফাইও ভালো হচ্ছে৷ কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ নানা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন মানুষ৷ হাউজিং ফর অল প্রকল্পে দেড় হাজারের বেশি বাড়ি তৈরির অনুমোদন হয়েছে৷ তাই কালনার সমস্ত ওয়ার্ড থেকেই আমরা লিড নেব৷