নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গত লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূলের ফলাফল তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে। উনিশের তুলনায় চব্বিশে আরও বেশি আসনে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এই সাফল্যের মাঝেও কাঁটা হয়ে রয়েছে মালদহের ফলাফল। এই জেলায় এবারও দাঁত ফোটাতে পারেনি শাসক শিবির। আর তা নিয়ে আক্ষেপের সুর ঝরে পড়ল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। একুশে জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চে এনিয়ে মুখ খুললেন তিনি। যাঁরা তৃণমূলকে সমর্থন করেননি, ভবিষ্যতে তাঁরা সমর্থন করবেন বলে আশা তাঁর।
মালদহ উত্তর ও মালদহ দক্ষিণে এবার একেবারে নতুন মুখে ভরসা রেখে লড়াইয়ের ময়দানে এগিয়ে দিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। মালদহ উত্তরে প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর পছন্দের প্রার্থী ছিলেন তিনি। রাজনীতির জন্য তিনি আগাম অবসর নিয়েছিলেন দুঁদে পুলিশকর্তা। আর মালদহ দক্ষিণে তরুণ মুখ শাহনওয়াজ আলি রায়হান। তিনি বিদেশে পড়াশোনা করার মাঝেই দেশে ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দিয়েছিলেন।
কিন্তু চব্বিশের লোকসভা ভোটে এঁদের কেউই জিততে পারেননি। মালদহ উত্তরে ফের জিতেছেন বিজেপির খগেন মুর্মু। আর মালদহ দক্ষিণে নিজেদের দখল রেখেছে কংগ্রেস। গণি পরিবারের ঈশা খান চৌধুরী সাংসদ হয়েছেন। এই ফলাফলে কপালে ভাঁজ পড়েছিল তৃণমূল নেত্রীর। এবার একুশের শহিদ মঞ্চে আক্ষেপের সুর ফুটে উঠল তাঁর গলায়। নিজের বক্তব্যে বললেন, ”মালদহ এবারও আমাদের ভোট দেয়নি। ওখানে কোনও আসন আমরা পাইনি। কেন যে মালদহের মানুষজন আমাদের ভুল বুঝলেন, জানি না। আপনারা যাঁদের ভোটে জেতালেন, একজন কংগ্রেস আরেকজন বিজেপি। তাঁরা কি আপনাদের জন্য কোনও কাজ করেছেন? আশা করি, যাঁরা এতদিন সমর্থন করেননি, তাঁরা এবার সমর্থন করবেন।” এর পর কিছুটা কৌতূকের সুরে বললেন, ”আশা করি, ২০২৬-এ মালদহের আম আর আমসত্ত্ব এবার আমরাই পাব।”