• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

রেল দুর্ঘটনা নিয়ে বড় প্রশ্ন মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি যাত্রী সুরক্ষার বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ এবং ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি যাত্রী সুরক্ষার বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ এবং ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। আহত হয়েছেন বহু যাত্রী। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে রেলের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “ইউপি-র গোন্ডায় আজ আরও একটি মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার কথা জেনে দুঃখিত! ফের ট্রেন লাইনচ্যুত, এবার চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস! রেল কর্তৃপক্ষ কী করছে? ভারত সরকার কী করছে? সবার আগে যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একথাটা সরকার কবে বুঝবে?”এর আগে গত ১৭ জুন শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে একটা মালগাড়ি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের পর নীচবাড়ি ও রাঙাপানি স্টেশনের মধ্যে ঘটে যায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মৃত্যু হয়েছিল ৩০০-রও বেশি রেলযাত্রীর। দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টাও করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

তবে সে সময় বিমান না থাকায় দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেননি মমতা। রেল দুর্ঘটনা রুখতে সরকারের সামগ্রিক সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, রেলের অবস্থা শুধরোতে কোনও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। শুধু বাইরে থেকে কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। মমতার কথায়, “রেল এখন অনাথ হয়ে গেছে। আগের মতো শ্রী নেই। মাধুর্যও নেই। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারে কোনও খেয়ালই রাখা হয় না। যাঁরা দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়ত করেন, তাঁরাই বলেন, বেড লিনেন খুবই নোংরা।”