বিধায়কের নাম করে তোলা! টাকা না মেলায় বেধড়ক মার প্রোমোটারকে

কলকাতা, ১৩ জুলাই: “আমরা তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষ ঘনিষ্ট। এলাকায় প্রোমোটারি করলে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে”। অভিযোগ, টাকা দিতে অস্বীকার করতেই বেধড়ক মারধর করা হয় প্রোমোটারকে। ভাঙচুর করা হয় প্রোমোটারের অফিসও। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কাশীপুর থানার ৯ সি রাজেন্দ্র রায় চৌধুরী লেনে। আক্রান্ত প্রোমোটার অভিজিৎ সরকার (৫০)-কে পরে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

অভিযোগ, রাতে হঠাৎ করেই অফিসে এসে চড়াও হন এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ মন্ডল ওরফে রানা এবং তাঁর কিছু সঙ্গী। তারপরেই প্রোমোটারের কাছে চাওয়া হয় পাঁচ লক্ষ টাকা। একই সঙ্গে নিজেদের তৃণমূল বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি করেন তাঁরা। টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রথমে বচসা বাঁধে দুই পক্ষের মধ্যে। তারপর উত্তেজনা বাড়তে থাকায় শুরু হয় হাতাহাতি। ভাঙচুর করা হয় অফিসও। অন্যদিকে অফিসে থাকা প্রায় দুই লক্ষ টাকা এবং প্রোমোটারের হাতের প্লাটিনামের আংটি নিয়েও চম্পট দেয় দুষ্কৃকারীরা।

প্রোমোটারের পরিবারের অভিযোগ, বিগত কয়েক বছর ধরেই প্রোমোটারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অভিজিৎ। ওই এলাকারই রানার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের চেনাজানা পাড়ার সূত্রে। কয়েকদিন আগেই এই নতুন অফিস খোলা হয়। রথের দিন পুজোও হয় অফিসে। সম্প্রতি আক্রান্তের বুকে স্টেইন বসেছে বলেই খবর পরিবার সূত্রে। এহেন ব্যক্তিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মারধর করে যাওয়ার সময় তাঁরা নিজেদের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি করে।


পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা থাকলেও গ্রেফতার করা হয়েছে জিতেনকুমার এবং কনওয়ালজিত নামে দুইজনকে। ঘটনা প্রসঙ্গে ডেপুটি মেয়র জানান, “আমি রানাকে চিনি। ওকে শিক্ষিত ভালো ছেলে জানতাম। কিন্তু এর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। কেন আমার নাম বলল, তাও জানি না। বিষয়টি দলকে জানাব।”