ভূপতিনগর থানায় ফোন করে কীভাবে হামলা হলো জানতে চাইল অমিত শাহর মন্ত্রক
নিজস্ব প্রতিনিধি— পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএর ধরপাকড় অভিযান ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি৷ ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে শনিবার দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ৷ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে গিয়ে বাধার মুখে পডে় এনআইএ৷ ঠিক কী ঘটেছিল? তা নিয়ে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে এনআইএ৷ তাদের দাবি, ‘বোমা তৈরির ষড়যন্ত্র করেছিলেন ধৃত বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা’৷ আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন৷ তদন্তে তেমনই দেখা গিয়েছে৷ বলাইচরণ এবং মনোব্রত স্থানীয় তৃণমূল নেতা৷ এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বলাইচরণ এবং মনোব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ মনোব্রতের বাডি়তেও তল্লাশি চালানো হয়েছে৷ সেখানে স্থানীয়েরা আধিকারিকদের বাধাদানের চেষ্টা করেন৷ এনআইএ-র এক আধিকারিক অল্প চোটও পেয়েছেন৷ কয়েক জন সংস্থার গাডি়তে হামলা চালিয়েছে৷ এনআইএ-র দাবি, ‘ভূপতিনগর থানায় যেতে আধিকারিকদের বাধা দেওয়া হয়েছে’৷ সেখানে গ্রেফতারি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শেষ করার কথা ছিল এনআইএ-র৷ সেই থানায় যেতেই বাধা দেওয়া হয়৷ এই নিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এনআইএ৷ এনআইএ দাবি করেছে, তদন্তে জানা গিয়েছে, মনোব্রত এবং বলাইচরণ বোমা তৈরি এবং তা বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিলেন৷ আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য৷ গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের নারুয়াবিলার গ্রামে রাজকুমার মান্নার বাডি়তে বিস্ফোরণ হয়৷ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনিও তৃণমূল নেতা ছিলেন৷ রাজকুমার নিজে গুরুতর জখন হন৷ জখম হন বিশ্বজিৎ গায়েন এবং বুদ্ধদেব মান্না৷ তিন জনেরই মৃতু্য হয়৷ ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজ্য পুলিশ তিন জনের মৃতু্যতে এফআইআর দায়ের করে৷ যদিও বিস্ফোরক পদার্থ আইন প্রয়োগ করা হয়নি৷ উপযুক্ত ধারা প্রয়োগ এবং এনআইএ-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দায়ের করা হয়৷ ২০২৩ সালের ২১ মার্চ নতুন ধারা প্রয়োগের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ ২০২৩ সালের ৪ জুন তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ৷ তাদের দাবি, তদন্তে বলাইচরণ এবং মনোব্রতের ভূমিকা প্রকাশ্যে এসেছে৷ দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণে তাঁরা জডি়ত৷ দু’জনে বোমা তৈরির ষড়যন্ত্র করেছেন৷