• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

বাগদা বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন মধুপর্ণা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ, ১৯ জুন: বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী পদে বুধবার মনোনয়ন জমা দিলেন মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। জয়ের ব্যাপারে একশোভাগ আত্মবিশ্বাসী তিনি। আজ মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় মধুপর্ণা বলেন,”সিট তো আমরা জিতেই বসে আছি। এটা জাস্ট একটা ফর্মালিটি। লড়াইটা খুব কঠিন না। ১৩ তারিখে দিদির হাতে সিটটা তুলে দিতে পারব।” প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক

নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ, ১৯ জুন: বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী পদে বুধবার মনোনয়ন জমা দিলেন মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। জয়ের ব্যাপারে একশোভাগ আত্মবিশ্বাসী তিনি। আজ মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় মধুপর্ণা বলেন,”সিট তো আমরা জিতেই বসে আছি। এটা জাস্ট একটা ফর্মালিটি। লড়াইটা খুব কঠিন না। ১৩ তারিখে দিদির হাতে সিটটা তুলে দিতে পারব।”

প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক মধুপর্ণা এদিন নীল সাদা শাড়ি পরে মনোনয়ন জমা দিতে যান। তিনি দাবি করেন, রাজনীতিতে নতুন হলেও তাঁর রক্তে রাজনীতি রয়েছে। তিনি নির্বাচনী যুদ্ধে নামতে একটুও পিছপা হননি। এদিকে বিরোধী শিবির বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে মধুপর্ণা বলেন, এসব বিষয়ে তিনি কিছুই ভাবছেন না। কারণ জয়ের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।

প্রসঙ্গত আগামী ১০ জুলাই রাজ্যের চার বিধানসভায় উপনির্বাচন। তার মধ্যে বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত বাগদা অন্যতম। গত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে এই বাগদা কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তিনি নির্বাচনে জেতার কয়েকমাস পরেই আবার তৃণমূলে ফিরে যান। এবং তিনি এখন তৃণমূলের জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার পূর্বে তিনি বাগদা বিধানসভার বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সেই আসনে এবার উপনির্বাচন। যেখানে নির্বাচনী জয়ে মতুয়াদের একটি বড় নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

সেজন্য জয় নিশ্চিত করতে এই কেন্দ্রে মতুয়া ভোটকে এক জায়গায় করতে মাঠে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। সেজন্য বিশ্বজিৎবাবু এবার নিজে উপনির্বাচনে না দাঁড়িয়ে ঠাকুর পরিবারের কন্যা ২৬ বছরের মধুপর্ণাকে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। বুধবার মধুপর্ণার মনোনয়নের সময় মমতাবালা ঠাকুর সহ দলের অন্যান্য জেলা ও ব্লক নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে জেলা শাসকের দফতরে হাজির হন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। সঙ্গে ছিলেন অশোকনগর বিধানসভার বিধায়ক ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী সহ একঝাঁক নেতা-কর্মী।

উল্লেখ্য, মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের রাজনৈতিক ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। কয়েকমাস আগেই বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘরে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসেন মমতাবালা ঠাকুর। তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে ধর্নায় সামিল হন কন্যা মধুপর্ণা। সেই বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে চাউর হতেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নজর পড়ে তরুণী মধুপর্ণার ওপর। মূলত শান্তনু ঠাকুরের অঙ্গুলিহেলনে চলা বনগাঁ বিজেপি-কে টক্কর দিতে এবার ক্ষুর্তুত বোন মধুপর্ণাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চলেছে তৃণমূল। সেজন্য বাগদা উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরে ধস নামাতে প্রার্থী হিসেবে ঠাকুর পরিবারের কন্যাকে বেছে নিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।

এদিকে বিপদ আঁচ করে রণকৌশল পাল্টানোর চেষ্টা করেন শান্তনু ঠাকুরও। তাঁরা এবার দলের কাউকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী না করে মধুপর্ণার বিরুদ্ধে ঠাকুর পরিবারেরই আর এক তরুণীকে নির্বাচনে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। সেজন্য বনগাঁ লোকসভার সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের স্ত্রীকে গেরুয়া প্রার্থী করার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে এই সিদ্ধান্তে দলের ভিতরে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেজন্য পরে সিদ্ধান্ত বদল করে শান্তনু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিনয় কুমার বিশ্বাসকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর।

এখন দেখার, ঠাকুর পরিবারের কন্যা মধুপর্ণা বিজেপি গড়ে ভাঙ্গন ধরাতে পারবেন, নাকি ফের বিজেপি প্রার্থীই বাগদা কেন্দ্রে শেষ হাসি হাসবেন।