রাজ্য রাজনীতিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরিকে সবাই কট্টর তৃণমূল কংগ্রেস বিরােধী হিসেবেই চেনেন। কিন্তু সেই অধীরবাবুও সােমবার রাজ্যের চারজন প্রাক্তন ও বর্তমান মন্ত্রীকে সিবিআইয়ের গ্রেফতারের প্রসঙ্গে কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের পাশেই দাঁড়িয়েছেন।
খুব পরিষ্কার ভাষায় তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার যাতে বাংলার কেউ না। কাউকে গ্রেফতার এবং কাউকে নয়, সিবিআই এই নীতি গ্রহণ করতে পারে না বলেও তিনি জানিয়েছেন। করােনা আবহের মধ্যে গ্রেফতার সমীচিন কিনা সেই প্রশ্নও তিনি তুলেছেন।
এক ভিডিও বার্তায় অধীবাবু এদিন বলেন, পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই নারদ কাণ্ডে চারজন বর্তমান ও প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। এ প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য খুব সামান্য। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার যেন বাংলার কেউ না হন। কাউকে ধরব, কাউকে ছাড়ব, সিবিআই এই নীতি গ্রহণ করতে পারে না।
সর্বোপরি যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের এই করােনা আবহে কী করে তাঁদের সুস্বাস্থ্য, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া যাবে, এই প্রশ্নটাও আমার মধ্যে আছে। নারদ ও সারদা কাণ্ড এই বাংলায় বহু পরিচিত দুর্নীতির ঘটনা। বিচার ব্যবস্থা আছে। তদন্তকারী সংস্থা আছে। সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু এখন বড় জটিল সময়।
সারা বাংলা করােনা আবহে আক্রান্ত। মানুষের মধ্যে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। মানুষ আজ দিশেহারা। এই অবস্থায় গ্রেফতার করা কি সমীচিন হয়েছে? এই প্রশ্ন আমার মধ্যে আছে। এই প্রশ্ন আমি সিবিআইকে অবশ্যই করব।
অধীরবাবু এদিন আরও বলেন, এই ধরনের গ্রেফতার আমার কাছে অনেক প্রশ্ন তৈরি করেছে। কারণ কাউকে ধরা হবে, কাউকে ছাড়া হবে। এটা কখনও গ্রেফতারির নিয়ম হতে পারে না। সর্বোপরি যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা বাংলার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
আমি তাদের দু-একজনকে খুব ভালাে করে চিনি জানি, সুব্রতবাবু আছেন, মদন মিত্র আছেন। আছেন ফিরহাদ হাকিম এবং শােভন চট্টোপাধ্যায়। সবাই এই বাংলার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তাদের সুস্বাস্থ্য, তাদের নিরাপত্তা কে দেখবে? তার ব্যবস্থা কে করবে? সিবিআইয়ের এটাও দেখা দরকার।