‘খাউঙ্গা, খানে ভি দুঙ্গা, লেকিন বন্ড ভরনে কি বাদ’

শ্যামল কুমার মিত্র

২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’৷ মানুষ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বুঝেছেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের অঘোষিত কিন্ত্ত অনুসৃত নীতি হল ‘জরুর খানে দুঙ্গা, লেকিন বিজেপি কে লিয়ে বন্ড ভরনে কি বাদ’৷ ২০১৩ সালে তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ‘নির্বাচনী ট্রাস্ট’ চালু করে৷ এই প্রকল্পতে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে একটি করে নির্বাচনী ট্রাস্ট গঠনের ক্ষমতা দেওয়া হয়৷ নিয়ম অনুযায়ী, সেখানে অনুদান দিতে পারে বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানি৷ সংগৃহীত অর্থ বছর শেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে চাঁদা হিসেবে দেওয়া যায়৷ এই পরিসংখ্যান প্রতি বছর জমা দিতে হয় নির্বাচন কমিশনে৷ কোনও লুকোছাপার ব্যবস্থা নেই৷ গত ১০ বছরে এই নির্বাচনী ট্রাস্ট থেকে বিজেপি ও কংগ্রেস যথাক্রমে ১,৮৯৩ কোটি এবং ২২১ কোটি টাকা পেয়েছে৷ এই ট্রাস্টে বিজেপির পাওয়া অর্থের মাত্র ১১.৭% চাঁদা কংগ্রেসের ঝুলিতে গেছে (তথ্যসূত্র : অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউজ মিনিট’ এবং ‘নিউজলন্ড্রি’-এর যৌথ তদন্ত রিপোর্ট)৷ এই ট্রাস্টের মাধ্যমে বিজেপি ‘পাইয়ে দেওয়ার মার্কেটিং’কে কাজে লাগিয়ে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের থেকে অনেক বেশি অর্থ চাঁদা হিসাবে সংগ্রহ করেছে৷ অর্থাৎ অর্থ সংগ্রহের মাধ্যম হিসাবে নির্বাচনী ট্রাস্ট বিজেপির পক্ষে যথেষ্ট উপযোগী ছিল৷ তা সত্ত্বেও ‘নির্বাচনী বন্ড’ প্রকল্প কেন আনলেন মোদি সরকার? আসলে স্বচ্ছতায় তাদের আপত্তি৷ নির্বাচনী ট্রাস্ট তুলনায় স্বচ্ছ৷ কোনও গোপনীয়তার সুযোগ নেই৷ কোনও ব্যক্তি/সংস্থা কত অনুদান দিল তা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হয় এবং যে কোনও ব্যক্তি নাগরিক তথ্যের অধিকার আইনে নির্বাচনী ট্রাস্টের তথ্য-পরিসংখ্যান পেতে পারেন৷ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প চালু করেন, যে প্রকল্পে রাজনৈতিক দলগুলিকে যেসব ব্যক্তি/সংস্থা চাঁদা দেবেন তাদের পরিচয় গোপন রাখার উপর সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে৷ ঠিক এই জায়গাতেই ‘নির্বাচনী ট্রাস্ট’-এর সঙ্গে ‘নির্বাচনী বন্ড’ ব্যবস্থার পার্থক্য৷ পূর্বতন ইউপিএ সরকার কোনও কিছু গোপন করতে চায়নি৷ কিন্ত্ত বর্তমান বিজেপি সরকার সব কিছু গোপন করায় আগ্রহী৷ এই গোপনীয়তাকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ফাইনান্স অ্যাক্ট-২০১৭’ এর মাধ্যমে ‘জনপ্রতিনিধিত্ব আইন-১৯৫১’, ‘আয়কর আইন-১৯৬১’ এবং ‘কোম্পানি আইন-২০১৩’-তে সংশোধনী আনেন৷ পূর্বতন সরকারের আমলে কোনও ব্যক্তি/সংস্থা কোনও রাজনৈতি দলকে ১০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/সংস্থার নাম ও পূর্ণ পরিচয় প্রকাশ ছিল বাধ্যতামূলক৷ ‘নির্বাচনী বন্ড’ গোপনে রাজনৈতিক দলকে যে কোনও অর্থাঙ্কের চাঁদা দেওয়াকে আইনি বৈধতা দিল৷ এই বন্ড চালুর তীব্র বিরোধিতা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং নির্বাচন কমিশন৷ কিন্ত্ত কোনও বিরোধিতা গুরুত্ব পায়নি৷ একই রকম গোপনীয়তার আড়াল রয়েছে ‘পি এম কেয়ার’ তহবিলে৷ ‘প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল’ নামের সরকারি তহবিল থাকার পরেও কেন আবার ‘পি এম কেয়ার’? প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ‘সিএজি অডিট এবং আরটিআই অ্যাক্ট-২০০৫’-এর আওতায়, সমস্ত আয়-ব্যয় প্রকাশযোগ্য, কোনও কিছু গোপন করার সুযোগ নেই৷ তাই এই তহবিল ব্রাত্য৷ নতুন ‘পি এম কেয়ার’ তৈরির উদ্দেশ্য সব কিছু গোপন করা৷ এই ‘পি এম কেয়ার’ সরকারি না বেসরকারি তা কেউ জানে না৷ ‘পিএম কেয়ার’ সিএজি অডিট ও আরটিআই অ্যাক্টের আওতার বাইরে—কেউ কিছু জানতে পারবে না, সব কিছু গোপন৷ যেকোনও অর্থসংক্রান্ত বিষয়ে তথ্যগোপনে সরকার তখনই মরিয়া হয়ে ওঠে, যখন সেখানে দুর্নীতি, অনিয়ম ও বেআইনি কাজ হয়৷ মোদি সরকার সরকারি তথ্য প্রকাশ্যে আনতে এতটাই ভীতসন্ত্রস্ত যে ‘তথ্যের অধিকার আইন-২০০৫’কে কার্যত গুরুত্বহীন করে দিয়েছেন তাঁরা৷ পূর্বতন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ‘আরটিআই অ্যাক্ট-২০০৫’ চালু করেন৷ সরকারি/আধাসরকারি/সরকার পোষিত সমস্ত সংস্থার তথ্য পরিসংখ্যান জানার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার পেয়েছিলেন মানুষ৷ সরকারি ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে এক কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল আরটিআই অ্যাক্ট৷ ২০১৩ সালের ৩রা জুন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন এক যুগান্তকারী রায়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আরটিআই অ্যাক্টের আওতায় আনেন৷ মোদি সরকারের আমলে অবস্থাটা কেমন? এই আইনে তথ্য সরবরাহে কেন্দ্র ও অধিকাংশ রাজ্য সরকার চরম অবহেলা ও টালবাহানা করে চলেছেন৷ হাস্যকর কারণ দেখিয়ে তথ্য দিচ্ছেন না৷ ২৯টি রাজ্য তথ্য কমিশনের মধ্যে ৪টি কার্যত অচল, ৩টি বর্তমানে অভিভাবকহীন, ১৯টি রাজ্য কমিশন বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করতে পারেনি যা এই আইনে কঠোরভাবে বাধ্যতামূলক৷ ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৩ লক্ষ ২১ হাজার আপিল বিভিন্ন কমিশনে বিচারাধীন অবস্থায় পড়ে আছে৷ এই কলমচিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তথ্য কমিশন ২০০৯, ২০১০ সালের আপিলের বিষয়ে হিয়ারিংয়ে ডাকছেন৷ যে আইনে ৩০ দিন সময়সীমার মধ্যে তথ্য সরবরাহ বাধ্যতামূলক, সেই আইনে গঠিত তথ্য কমিশন যখন ২০২৪ সালে ২০০৯, ২০্য০ সালের তথ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য ডাকেন, তখন শব্দচয়নে অতিমাত্রায় সতর্ক থেকেও বলতে হয় ‘ছ্যাবলামি হচ্ছে’৷ সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য চাইলে তাঁকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার হুকুম হয়েছে৷ গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কেন জানতে পারবেন না মানুষ? নির্বাচনী বন্ড, পিএম কেয়ার— সিএডি অডিট এবং আরটিআই অ্যাক্টের বাইরে, কারণ দুটিতেই দুর্নীতি আছে৷ প্রথমটির দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে, দ্বিতীয়টি সম্পর্কে তথ্যপ্রকাশ হলেই প্রমাণ হবে সেটিতেও দুর্নীতি আছে৷

‘দি নিউজ মিনিট’ ও ‘নিউজলন্ড্রি’র যৌথ তদন্তে ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে৷ প্রুডেন্ট নির্বাচনী ট্রাস্ট, নির্বাচনী ট্রাস্ট এবং নির্বাচনী বন্ড— এই তিন প্রকল্পে গত ১০ বছরে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা যে অর্থাঙ্কের অনুদান দিয়েছে তার সিংহভাগ বিজেপির ক্যাশ বাক্সে ঢুকেছে, কংগ্রেস যৎসামান্য পেয়েছে৷ বেশিরভাগ সংস্থার ক্ষেত্রে ইডি, সিবিআই ও আয়কর হানা হওয়ার পর বিজেপিকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্থদানের ঘটনা ঘটেছে, নির্বাচনী বন্ড কেনার পর সংশ্লিষ্ট সংস্থার ক্ষেত্রে ইডি, সিবিআই, আয়কর তদন্ত বন্ধ হয়ে গেছে৷ অর্থাৎ সোজা কথায় কেন্দ্রীয় সরকারি এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে এই সংস্থাগুলিকে বিজেপিকে অনুদান দিতে বাধ্য করা হয়েছে— এ তো সরাসরি তোলাবাজি৷ ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত সময়কালে এজেন্সি হানার মধ্যেই ৩০টি সংস্থা বিজেপিকে ৩৩৫ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছে৷ প্রথম সারির এক শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তল্লাশি হয়৷ ২০১৪ সালে মোদি সরকারের আমলে তাদের ক্লিনচিট দিয়ে তদন্ত ক্লোজার করে সিবিআই৷ এই গোষ্ঠী নির্বাচনী ট্রাস্টের মাধ্যমে বিজেপি ও জোটসঙ্গী বিজেডিকে যথাক্রমে ১৩.৫ কোটি ও ৭ কোটি টাকা অনুদান দেয়৷ দেশের খ্যাতনামা এক লটারি সংস্থায় ৭০টি জায়গায় ২০১৯ সালের মে মাসে এজেন্সি হানা চলে৷ ২০২১ সালের মার্চে সংস্থাটি প্রুডেন্ট নির্বাচনী ট্রাস্টের মাধ্যমে বিজেপিকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেয়, ফলত তদন্ত বন্ধ৷ এমন আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে৷ ২০১৯-২০ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড, পিআরএল ডেভেলপারস প্রাইভেট লিমিটেড, ব্রাইটস্টার ইনভেস্ট প্রাইভেট লিমিটেড, পেগাসাস প্রোপার্টিড প্রাইভেট লিমিটেড, প্রেস্টিজ প্রজেক্টস প্রাইভেট লিমিটেড, চন্দ্রজ্যোতি এস্টেট ডেভেলপারস প্রাইভেট লিমিটেড, এবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ইন্টারগ্লোব এভিয়েশন লিমিটেড, এনএসএল রিনিউয়েলব পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রিনকো রায়লা উইন্ড পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিকে যথাক্রমে ১৯৮, ২০, ১০,১০, ১০, ১০ ১০, ৫, ৫, ৫ কোটি টাকা দিয়েছে৷ সংস্থাগুলি এই সময়কালে বিপুল লোকসানে চলেছে৷ লোকসানে চলা সংস্থা কোথা থেকে নির্বাচনী বন্ড কেনার টাকা পেয়েছে? বিজেপির একজন রাজ্যসভা সদস্যের কোম্পানি আরপিপিএল ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি হিমাচলের ১০৯৮ কোটি টাকার সুন্নি জলবিদু্যৎ প্রকল্পের বরাত পেয়েছে, তারা ৪৫ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে৷ উত্তরাখণ্ডের সিলকিয়ার কুখ্যাত টানেল বিপর্যয়ের নায়ক নবযুগ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ২০১৭ থেকে অজস্র কেন্দ্রীয় নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে৷ তারা ৫৫ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে৷ ফিউচার গেমিং, মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং, সিরডিসাই ইলেকট্রিক্যালসে আয়কর ও ইডি তল্লাশি, বিপুল অর্থাঙ্কের নির্বাচনী বন্ড ক্রয়, তদন্ত বন্ধ৷ এই সিরডিসাই মহারাষ্ট্রে ৩০৬ মেগাওয়াট সৌরবিদু্যৎ প্রকল্প পেয়েছে৷ অ্যাপকো ইন্ডিয়া ২০২২ এর ১০ জানুয়ারি বন্ড কিনল, ২৪ জানুয়ারি ৯০০০ কোটি টাকার ভারসোভা সিলিঙ্কের বরাত পেল৷ ৩৫টি ওষুধ কোম্পানি ১০০০ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে, যাদের ৭টির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগে তদন্ত চলছিল৷ কিন্ত্ত বন্ড কেনার পর তদন্ত বন্ধ৷ এই ৩৫টি ওষুধ কোম্পানির ওষুধের দাম ক্রমবর্ধমান৷ কোটি কোটি টাকার বন্ড কিনব, আবার সঠিক মান ও মূল্যে ওষুধ বিক্রি করব— দুটো তো একসঙ্গে চলে না৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি তথ্য— পুলওয়ামা হামলার ঠিক পরেই পাকিস্তানের হাবপাওয়ার কোম্পানি বড় অর্থাঙ্কের নির্বাচনী বন্ড কিনেছে, তথ্য সত্য হলে তা ভয়ঙ্কর৷


এখনও পর্যন্ত যা জানা গেছে তাতে নির্বাচনী বন্ডে বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, বিআরএস, বিজেডি, ডিএমকে, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, টিডিপি, সমাজবাদী পার্টি, অকালি দল, এডিএমকে, ন্যাশনাল কনফারেন্স যথাক্রমে ৮২৫১ কোটি, ১৩৯৭ কোটি, ১৩৩৪.২৫ কোটি, ১৩২২ কোটি, ৯৪৪.৫ কোটি, ৬৫৬.০৫ কোটি, ৪৪২.৮ কোটি, ১৮১.৩৫ কোটি, ১৪.০৫ কোটি, ৭.২৬ কোটি, ৬.০৫ কোটি এবং ৫০ লক্ষ টাকা পেয়েছে৷ বন্ডের সিংহভাগ টাকা বিজেপি ও তার জোটসঙ্গী দলগুলির ক্যাশবাক্সে৷ এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই৷ শতাব্দী প্রাচীন দ্বিতীয় বৃহত্তম দল কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে৷ আশ্চর্যের বিষয়, পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক দল তৃণমূলের বিপুল প্রাপ্তি (দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাপক)৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লটারির মতো সরকারি সংস্থা তুলে দিয়ে সারা রাজ্যে ডিয়ার লটারিকে বিপণনের খোলা মার্কেট উপহার দিয়েছে৷ লটারি সংস্থা তৃণমূলকে বন্ডের মাধ্যমে ৫৪২ কোটি টাকা দিয়েছে৷ মেট্রো ডেয়ারির (এমডিএল) ৪৭% শেয়ার মাত্র ৮৪.৫ কোটি টাকায় জালান গোষ্ঠীর কেভেন্টার অ্যাগ্রোকে বিক্রি করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷ কেনার পরেই বিপুল অর্থে এই শেয়ার বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করে জালান গোষ্ঠী৷ বড় অর্থাঙ্কে অনুদান পেয়েছে তৃণমূল এই জালান গোষ্ঠীর কাছ থেকে৷ মন্তব্য নিঃষ্প্রয়োজন৷ নির্বাচনী বন্ড স্ক্যাম সম্ভবত সব থেকে বড় সরকারি দুর্নীতি, সৌজন্যে বিজেপি৷