• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

জামিনে মুক্ত কেজরি বেরোলেন জেল থেকে

দিল্লি, ১০ মে— অবশেষে সাময়িক স্বস্তি! অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন দিল্লির প্রধানমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ আপাতত ১ জুন অবধি কেজরিওয়ালকে স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ আর এরপরেই আমূল বদলে গিয়েছে আম আদমি পার্টির সদর দফতরের ছবি৷ দলে দলে নেতা-কর্মীরা জড়ো হলেন দলের দফতরের সামনে৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ঠিক ৫০ দিন পরে তিহার জেল থেকে বাড়ির পথে আম আদমি

দিল্লি, ১০ মে— অবশেষে সাময়িক স্বস্তি! অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন দিল্লির প্রধানমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ আপাতত ১ জুন অবধি কেজরিওয়ালকে স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ আর এরপরেই আমূল বদলে গিয়েছে আম আদমি পার্টির সদর দফতরের ছবি৷ দলে দলে নেতা-কর্মীরা জড়ো হলেন দলের দফতরের সামনে৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ঠিক ৫০ দিন পরে তিহার জেল থেকে বাড়ির পথে আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷

জামিনের খবর পেতেই তিহার জেলের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির কর্মী-সমর্থকরা৷ এমনকি কেজরিওয়ালকে স্বাগত জানাতে চলে এসেছিলেন স্বয়ং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মান৷ চারদিকে শুধু আপের পতাকা আর সমর্থকের ভিড়৷ সঙ্গে সমর্থকদের হাতে রয়েছে দলের প্রতীক ঝাড়ু৷ শুরু হয়ে যায় বাজি ফাটানো, বিলি করা হয় মিষ্টি৷

আজই সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, ১ জুন অবধি তাঁরা কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করছেন৷ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্টভাবে রয়েছে, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের একটি জাতীয় দলের নেতা৷ নিঃসন্দেহে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুরুতর৷ কিন্ত্ত তিনি দোষী প্রমাণিত হননি৷ এমনকি তাঁর কোনও অপরাধের ইতিহাসও নেই৷ সমাজের জন্য তিনি কোনওভাবে ঝুঁকি নন৷’ তাই তাঁর লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা সুপ্রিম কোর্ট উদারতার সঙ্গে ভেবে দেখেছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা৷

দিল্লিতে আপ সরকারের অপর মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন, ‘শুধু দলীয় কর্মীরাই নন, দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ছাড়া পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন৷ তাঁর এই জামিন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের জন্যই একটা গেম চেঞ্জার হতে চলেছে৷ ওঁকে গ্রেফতার করাটাই বিজেপির অন্যতম ভুল হয়েছে৷ যাতে ক্ষতি হচ্ছে বিজেপির৷ দেশের মানুষের মনে, আলোচনায় অরবিন্দজি রয়েছেন৷’
কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা দেশের সবার প্রার্থনা ও আশীর্বাদকে ধন্যবাদ জানান৷ ‘হনুমানজি কি জয়’ বলে সুনীতা বলেছেন, ‘সবার প্রার্থনা ও আশীর্বাদের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে৷’

দলের সমর্থকদের হইচই, স্লোগানের মাঝেই তিহার থেকে বেরিয়ে আসেন কেজরিওয়াল৷ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা আমাকে আশীর্বাদ করেছেন৷ আপনাদের ধন্যবাদ৷ ধন্যবাদ সুপ্রিম কোর্টকেও৷ বিচারপতিদের জন্যই আজ আমি আপনাদের সামনে আসতে পেরেছি৷ আমাদের সবাইকে একসঙ্গে লড়ে দেশকে এই একনায়কতন্ত্র থেকে বাঁচাতে হবে৷’ তিহার থেকে বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন কেজরিওয়াল৷ আজ দুপুর ১টায় দলের সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন কেজরিওয়াল৷