বিজেপি-কে হটিয়ে কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাতে

লোকসভা ভোটের পরেই ভাঙন বিরোধী শিবিরে

খায়রুল আনাম, ১১ জুন– সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে বীরভূম জেলায় লোকসভার দু’টি আসনই দখলে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূম লোকসভা আসনে চতুর্থবারের জন্য জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন শতাব্দী রায়। তাঁরই সাংসদ এলাকার জেলা সদর শহর সিউড়ি সংলগ্ন ১৭ আসনের কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯টি আসন জিতে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে ছিল ৮ টি আসন। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে উপ-প্রধান হন বিজেপির সঞ্জীব বাগ্দী। এবারের লোকসভা ভোটেও কড়িধ্যা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ে ২৬৫৯টি বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তার আগের ভোটেও এখানে বিজেপি এগিয়ে ছিল ৩৮০০ টি ভোটে। যা নিয়ে বিব্রত ছিলেন এখানকার সাংসদ শতাব্দী রায় ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

সেই বিব্রতকর পরিস্থিতিরই এবার বদল ঘটে গেল। বিজেপির ঘর ভাঙিয়ে কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে আসার পথটা প্রশস্ত করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি-র উপ-প্রধান সঞ্জীব বাগ্দী ও অপর বিজেপি সদস্য বরুণ অঙ্কুর সিউড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে এসে লিখিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তারপরই সেখানে তাঁদের গলায় মালা পরিয়ে তাঁদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। এর ফলে ১৭ আসন বিশিষ্ট কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা হল ১০টি। আর বিজেপির হাতে থাকল ৭ টি আসন। এই সংখ্যাধিক্যে কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিকে এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী আড়াই বছরের আগে গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সুযোগ নেই। তাই কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিস্থিতি কী হবে, সেদিকেই এবার তাকিয়ে থাকতে হবে রাজনৈতিক মহলকে। দলত্যাগ করে আসা ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন, বিজেপি-তে থেকে তাঁরা কাজ করতে পারছিলেন না। তাই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে সামিল হতেই স্বেচ্ছায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভয় দেখিয়ে ওই দুই সদস্যকে তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে গেলেও, কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস।