জলের ট্যাঙ্ক বলে দাবি অভিযুক্তের
নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ১৯ জুলাই পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল সোনারপুর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জামাল সর্দার৷ শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ জামালকে নিয়ে পুলিশ তাঁর বসতবাড়িতে যায়৷ প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি ৷ তল্লাশি চলাকালীন মাটির নিচে এক গোপন চেম্বারের খোঁজ পায় পুলিশ৷
শুক্রবার সকালে জামালের বাড়িতে ঢোকার সময় সাক্ষী হিসেবে কয়েকজন প্রতিবেশীকে পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল৷ তাঁরা জানান, মাটির তলার ওই চেম্বারে কী আছে তা দেখতে পুলিশ সেটি ভাঙচুর করে৷ যদিও চেম্বারের ভেতর থেকে সন্দেহজনক কিছুই উদ্ধার হয়নি৷ জামালের দাবি, জলের ট্যাঙ্ক হিসেবে মাটির তলার ওই চেম্বারটি ব্যবহার করতেন তিনি৷ জামালের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর জন্য পুলিশের তরফে বারুইপুর আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল৷ আদালত অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই সোনারপুর থানার পুলিশ নামে তল্লাশিতে৷ সূত্রের খবর, জামালের বাড়ি থেকে এদিন আধার কার্ড সহ বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করে পুলিশকর্মীরা৷
প্রসঙ্গত, এই জামাল সর্দারের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল৷ তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় সালিশি সভা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল৷ সেই সভায় এক মহিলাকে পায়ে শিকল বেঁধে মারধর করার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে৷ এর আগেও সালিশি সভা বসিয়ে একাধিকবার মহিলাদের হেনস্থা করার অভিযোগও রয়েছে জামালের বিরুদ্ধে৷ এসব বিষয় সামনে আসার পর থেকেই জামাল নিখোঁজ ছিলেন৷ ১৯ জুলাই শেষমেষ পুি্লশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত৷ যদিও জামালের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে৷