মমতার সভায় আসা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রাপকদের গুড় ও আমপোড়ার সরবত

নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান, ৪ মে— শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-১ ব্লকের সমুদ্রগড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় ঢল নেমেছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপক মহিলাদের৷ সাম্প্রতিক ভোটের প্রচার সভায় মহিলাদের এই ব্যাপক জমায়েতে অনেক পুরুষ কর্মী সমর্থক জনসভায় ঢুকতে পারেননি৷ এসটিকেকে রোডের ধারে দাঁড়িয়ে তারা দলের সুপ্রিমোর বক্তব্য শোনেন৷ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, জনসভায় ৪০ হাজারের বেশি কর্মী সমর্থক ভিড় করেছিলেন৷ তাদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যাই বেশি ছিল৷ এর আগে এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে বর্ধমানের জামালপুরে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস ব্যবস্থাপনায় দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সভাতেও মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো৷ ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান দাবি করেন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজারের বেশি মহিলা সমর্থকদের হাজিরা ছিল৷

পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভার অন্তর্গত কালনা-১ ও পূর্বস্থলী-১ ব্লকে প্রায় এক হাজারের বেশি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে৷ বলা যায়, গোষ্ঠীর সকলেই সরকারি আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান৷ শুক্রবার বিকেলে সভা শুরুর প্রায় ঘণ্টা খানেক আগে থেকেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা প্রকল্পের প্ল্যাকার্ড হাতে সভাস্থলে ভিড় করেন৷ প্রচণ্ড গরমের কারণে কর্মী সমর্থকদের জন্য এলাকার বিধায়ক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের নির্দেশ মেনে গুড় ও আমপোড়া সরবৎ এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি থাকতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কেউ বন্ধ করতে পারবে না৷ সঙ্গে সঙ্গে করতালি ও উলুধ্বনিতে ফেটে পড়েন মহিলারা৷

পূর্বস্থলী-১ ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বলেন আমরা মহিলারা মুখ্যমন্ত্রীর নানা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছি৷ মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে শিখেছি৷ স্কুল পোশাক তৈরি করে বহু মহিলা আজ যথেষ্ট রোজগার করছেন৷ এছাড়াও কেউ হাতে ভাজা মুড়ি, মশলা, ঢেঁকি ছাটা চাল ও সেলাই মেশিনে কাজ করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন৷ পশু পালনের মধ্যে দিয়েও অনেকে আর্থিক দিক দিয়ে পরিবারকে সচ্ছ্বল রেখেছেন৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর হাত শক্ত করতে আমরা সভাস্থলে ভিড় করেছি৷ বাংলার মাকে খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছি৷ এর থেকে আর কী চাই৷