ইরানে ফের হামলা চালালো ইজরায়েল

তেহরান, ১৯ এপ্রিল: আজ, শুক্রবার ভোরে ইরানে ফের হামলা চালাল ইজরায়েল। ইরানের ইসফাহান এলাকায় ড্রোন হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। বিস্ফোরণ ঘটে ইরানের একটি বিমান বন্দরে। হামলার জেরে তেহরানের বেশ কয়েকটি বিমান পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। আমেরিকার নিষেধ উড়িয়ে তেল আভিভের এই হামলা চালানোর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ইজরায়েলের এই হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ইরানও। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে। অশান্ত হয়ে উঠছে উপসাগরীয় এলাকা। এই ঘটনার জেরে ইরান সরকার তার এয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সক্রিয় রেখেছে। ইরান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এদিন ভোরে ইসফাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ড্রোনগুলি আকাশেই ধ্বংস করে দেয়। সেই সময় কোনও একটি প্রযুক্তিগত ভুলের কারণে ইসফাহান বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ঘটে।

প্রসঙ্গত ইরানের ওই এলাকাতে নাতাঞ্জ সহ কয়েকটি পরমাণু গবেষণা ও ইউরেনিয়াম পরিশোধন কেন্দ্র রয়েছে। সেজন্য এই এলাকাগুলি ইরানের স্পর্শকাতর এলাকা বলে চিহ্নিত। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইসফাহান বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের জন্য তেল অভিভই দায়ী। যদিও বিমান বন্দরে এই বিস্ফোরণের জন্য তেহরান ইজরায়েলকে দায়ী করেনি। জানা গিয়েছে, ইরানের যে স্পর্শকাতর এলাকাগুলি রয়েছে, তার মধ্যে ইসফাহান হল একটি অন্যতম এলাকা। ইজরায়েল সেই স্পর্শকাতর এলাকায় হামলা চালিয়ে ইরানকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিরিয়ার দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। সেই হামলায় মৃত্যু হয় এক মিলিটারি কমান্ডার ও ছয়জন আধিকারিকের। সেই হামলার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করে ইরান। তারা ইজরায়েলের ওপর পাল্টা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে। তেহরান জানায়, খুব শীঘ্রই ইজরায়েলকে এর জবাব দেবে। তারপর গত সপ্তাহে ইজরায়েলে প্রায় ৩০০টির বেশি ড্রোন, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তবে আমেরিকা ও ব্রিটেন সহ বেশ কয়েকটি দেশ ইরানের ৯৯ শতাংশ ড্রোনকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।